আজ শুক্রবার মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হল। মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় ও মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কোতুলপুর সরোজ বাসিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ঈশানী চক্রবর্তী। ৭০০ নম্বরের মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর হল ৬৯৩। মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ায় বেজায় খুশি কোতুলপুর সরোজবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ঈশানী। স্কুলের নাম সকলের কাছে তুলে ধরতে পেরে গর্বিত সে। ঈশানী ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার নয়, ভবিষ্যতে একজন গবেষক হতে চায়। একইসঙ্গে সাফল্য পেতে কীভাবে পড়াশোনা করা উচিত, সেই বার্তাও দিয়েছে ঈশানী।
আরও পড়ুন: মোট পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ, নিজের মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখতে ক্লিক করো এখানে
এদিন সকাল ৯ টা নাগাদ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হতেই কিছুটা অবাক হয়ে যায় ঈশানী। মাধ্যমিকে ভালো ফল হবে সেটা আশা ছিল ঈশানীর। কিন্তু,মেধাতালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করবে তা ভাবতে পারেনি সে। এদিন ফল জানার পরেই বাড়ির সকলেই খুবই খুশি হয়েছেন। ঈশানীকে মিষ্টিমুখ করান পরিবারের সদস্যরা। পরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ঈশানী জানায়, ‘আমি রেজাল্ট শুনে খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এতটাও আশা করিনি। আমি খুবই খুশি হয়েছি। এতজনের সামনে স্কুলের নাম তুলে ধরতে পেরে আমি গর্বিত।’ তার কথায়, এই সাফল্যের জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে তার বাবা-মায়ের। একইসঙ্গে আগামিদিনে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশুনা করে গবেষণা করতে চায় বলেই জানিয়েছে।
তবে সাফল্য পেলেও কখনও নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করেনি ঈশানী। যখন মনে হয়েছে তখনই টানা পড়ে গিয়েছে। তার কথায়, ‘প্রতিদিন ভেবে নিতাম কোন কোন টপিক নিয়ে পড়ব। তারপর সেগুলি শেষ করার জন্য যতটা সময় লাগত ততক্ষণ পড়তাম। বিষয়গুলি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পড়তাম।’ অবসরে ছবি আঁকতে ভালোবাসে ঈশানী। কিন্তু পড়ার চাপে বছরখানেক আঁকার তেমন সুযোগ নেই।
একইসঙ্গে ভালো ফল করার জন্য কীভাবে পড়তে হবে? সেই বার্তাও দিয়েছে। তার কথায়, পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়তে হবে। পরীক্ষার হলে মনোবল না হারিয়ে যতটা সম্ভব সব প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। উত্তরে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই লিখতে হবে। বাড়তি লেখা চলবে না। ঈশানীর মা সোনালী চক্রবর্তী পেশায় শিক্ষিকা। তিনি বলেন, ‘মেয়ের সাফল্য প্রত্যাশিত ছিল। আমরা তার সাফল্যে ভীষণ খুশি।’ মেয়ে ছোটো থেকেই পড়াশুনায় ভীষণ মনোযোগী বলে তিনি জানান।