হবু শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন যুবতী। বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন একটু দেখা করেই ফিরে আসবেন। 🍃কিন্তু সেই ফেরাটা হল না। তবে যেভাবে যুবতী ফিরলেন এমনটা আশা করেননি ওই যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। কদিন পরেই বিয়ে ছিল ওই যুবতীর। যে পরিবারের ছেলের সঙ্গে বিয়ে সেটা ওই যুবতীর বাড়ির কাছেই। অর্থাৎ শ্বশুরবাড়ি এবং বাপেরবাড়ি একই পাড়ায়। তাই দুই পরিবারেই প্রস্তুতি চলছিল বিয়ের। এই কারণে বাড়ি পরিষ্কার করা হচ্ছিল। কাটা💝 হচ্ছিল নারকেল গাছ থেকে শুরু করে অন্যান্য গাছের পাতা। আর তখনই কাটা গাছের উপরের অংশ এসে পড়ে ওই যুবতীর মাথায়। তার জেরে মৃত্যু হল যুবতীর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বসিরহাট শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণপতিপুরে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় মধুমিতা রায়ের (৩৫)। মধুমিতাদের বাড়ির অদূরেই বাড়ি ছিল তাঁর হবু শ্বশুরবাড়ি। সেখানে প্রতিবেশী হিসেবে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। দুই বাড়ির মধ্যে সুন্দর সম্পর্কও ছিল। সেখꦯানে সোমবার হবু শ্বশুরবাড়িতেই দেখা করতে গিয়েছিলেন মধুমিতা। নিজের হাতে ওই বাড়িতেই লাগিয়েছিলেন ফুল গাছের চারা। নিজেই সেসবের নিয়মিত পরিচর্যা করতেন। সেসব যখন মধুমিতা দেখতে যান তখন কাটা হচ্ছিল পুরনো নারকেল গাছ। ওই বাড়ির দোতলায় অন্য সদস্যদের সঙ্গে গল্প করছিলেন মধুমিতা। কিন্তু সেখান থেকে নেমে এসে নিজের গাছ দেখতে যাওয়াই কাল হল। মর্মান্তিক ম🐼ৃত্যু হল মধুমিতার।
আরও পড়ুন: কার্তিক পুজোর আগে বড় ক্ষতি হবে না তো? ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আতঙ্কে বাঁশবেড়িয়ার উদ্যোক্তারা
নারকেল গাছ কাটা চলার সময় তাঁর সাধের ফুল গাছগুলির ক্ষতি হয়েছে কিনা দেখতেই নীচে নামেন মধুমিতা। আর তখনই নারকেল গাছের উপরের দিকের অর্ধেক কাটা অংশ এসে পড়ে মধুমিতার মাথায় এবং পিঠে। তার জেরে মধুমিতা ছিটকে গিয়ে ধাক্কা খান পাঁচিলে। আর ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। বসিরহাট হাসপাতালে মধুমিতাকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর তখন থেকেই আꦺনন্দের পরিবেশ শোকে বদলে যায়। দুই বাড়িতেই নেমেছে শোকের꧃ ছায়া। বিয়ে হল না মধুমিতার। বরং মৃত্যু হল মর্মান্তিকভাবে। যা মেনে নিতে পারছেন না দুটি পরিবার। কান্নার রোল উঠেছে দুই পরিবারে।