মকর সংক্রান্তি কেটে গিয়েছে। সুতরাং যে পুণ্যার্থীদের ঢল নামার কথা ছিল তা নেমে শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ এখানে এসে রাজ্য সরকারের তৈরি বাউল অ্যাকাডেমিতে থাকতে পারলেন না বাউল–ফকিররা বলে অভিযোগ। কারণ ওই বাউল অ্যাকাডেমি বন্ধ ছিল। এখন কবি জয়দেবের স্মৃতিবিজꦫড়িত কেঁদুলির ভাঙা মেলায় বাউল–ফকিরদের আসা–যাওয়া রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের বাউল অ্যাকাডেমি বন্ধ হয়ে পড়ে থাকায় আক্ষেপ করেন তাঁরা। এই বাউল অ্যাকাডেমি উদ্বোধন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার সরকারে আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তখন জয়🧜দেব মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন,🍸 অজয় নদের পাড়ে কেঁদুলিতে গড়ে তোলা হবে বাউল অ্যাকাডেমি। যেখানে অল্প খরচে যে কেউ থাকতে পারবেন। বাউল চর্চাও করতে পারবেন। ২০২৩ সালে জেলা সফরে এসে বোলপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই বাউল অ্যাকাডেমির ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। এখন কেটে গিয়েছে বহু সময়। কিন্তু এই বাউল অ্যাকাডেমি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। যা গড়ে তুলতে ৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন চত্বর কালীঘাটের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু যুবকের
প্রশাসন সূত্রে খবর, এই বাউল অ্যাকাডেমির সংস্কার করার জন্যই সেটা আপাতত বন্ধ আছে। দু’বছর কাটতেই সংস্কারের প্রয়োজন কেন? উঠছে প্রশ্ন। বাউল অ্যাকাডেমিতে আছে ২০টি ঘর, একটি স্টুডিয়ো, মিউজিয়াম, গানের সংগ্রহশালা, গ্রন্থাগার, পাণ্ডুলিপি, রেকর্ডার, সিডি, বাউল চর্চার সামগ্রী, ২৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহ এবং মুক্তমঞ্চ। বাউল অ্যাকাডেমি বন্ধ থাকায় তা কাজে লাগছে না। এই বিষয়ে বাউল শিল্পী তন্ময় দাস বাউল বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুন্দর একটা ব্যবস্থা করেছেন। আর সেটা বন্ধ হয়ে আছে। এটা একটা খারাপ লাগার বꦬিষয়। জয়দেব মেলায় অনেক বাউল আসেন। তাঁরা এখানে থাকতে পারতেন।’