২০২০ সালে বীরভূমের মল্লারপুরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল এক নাবালকের। সেই মামলায় মৃত নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে, এই মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনায় সরব হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, কোনও নাবালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে কোনও নাবালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হলে পশ্চিমবঙ্গ জুভেনাইল জাস্টিস আইন (২০১৭) মেনেই পুলিশকে পদক্ষেপ করতে হবে।
কী ঘটেছিল?
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ১৫ বছরের এক নাবালককে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বীরভূমের মল্লারপুরের খালাসিপাড়ার বাসিন্দা ছিল ওই নাবালক। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর ওই নাবালককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে নাবালককে নিজেদের হেফাজতে রেখে দেয়। এর পরের দিন রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ওই নাবালকের। ঘটনায় নাবালকের মৃত্যুর জন্য পুলিশি অত্যাচারকেই দায়ী করেছিলেন স্থানীয়রা। এই ঘটনার পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
স্থানীয়দের দাবি ছিল, পুলিশের মারধরের ফলে ওই নাবালকের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করে নাবালকের পরিবার। তাদের দাবি ছিল, ছেলে আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশের চাপে পরিবারের সদস্যরা একথা বলেছিলেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানো উতোর। ঘটনার পরে চাপে পড়ে বীরভূম জেলা পুলিশ মল্লারপুর থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরকে ক্লোজ করে। কিন্তু, ওসির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামে বিজেপি। এর পরে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানি শেষে নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup