শীতের আমেজ বাংলার মানুষ টের পেতে শুরু করেছেন। হালকা হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে বেরিয়ে পড়ার পরিকল্পনা করছেন ভ্রমণপিপাসু বাঙালি। বিশেষ করে শীতের আমেজে পিকনিক করতে বেশি চান বঙ্গবাসী। তাই মহিষাদলের কাছে পর্যটকদের জন্য গড়ে ওঠা নতুন ডেস্টিন🐼েশন গেঁওখালিতে খোঁজখবর করা চলছে। নিরিবিলি প্রকৃতির কোলে নৈসর্গিক অনুভূতি নিতে এখানে আসতে চান পর্যটকরা। পিকনিক–সহ দু’দিন কাটিয়ে গেলে মন তরতাজা হয়ে যাবে। আর পর্যটকদের কথা ভেবে কদিনের মধ্যেই চালু হয়ে যাচ্ছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের বিশেষ🐭 লাক্সারি রিসর্ট। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ত্রিস্রোতা’।
এখানে আগে পর্যটকরা আসতেন। কিন্তু তেমন কোনও ব্যবস্থা ছিল না। তাই পর্যটকদের টানতে সরকারি উদ্যোগে লাক্সারি রিসর্ট নির্মাণ করা হয়। তিনটি নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এই গেঁওখালি। কদিনের মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই উদ্বোধন করবেন ‘ত্রিস্রোতা’ লাক্সারি রিসর্টের। এই বিষয়ে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জেলা সফরে আসবেন। তখন ত্রিস্রোতা পর্যটকদের জন্য খুল🍸ে দেওয়া হবে। এখানের দর্শনীয় স্থানগুলি নিয়ে এক🍨টি ট্যুর প্যাকেজ করা হবে। এতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ওয়েবসাইটে গিয়ে বুক করা যাবে এখানের রুম।’
আরও পড়ুন: ‘মানুষ আমাদের ‘চোরপোরেশন’ এই জন্যই বলে’, ডিজি বিল্ডিংকে হুঁশিয়ারি মেয়রের
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর, এই লাক্সারি রিসর্ট গড়ে তুলতে ২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ত্রিস্রোতা এখন পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। এই লাক্সারি হোটেলের বাইরে আছে তাঁবু। সেখানেও থাকার ব্যবস্থা আছে। ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। নদীর তাজা মাছ কিনে নিজেরাই ঝোল বানাতে খেতে পারবেন পর্যটকরা। সেই ব্যবস্থাও আছে। এখানে ৬ একর এলাকা জুড়ে একটি পুকুর সংস্কার করে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। সেখানে বোটিং থাকছে। হাত বাড়🐻ালেই থাকছে সাজানো বাগান। দোলনা থেকে স্লিপ সবই মিলবে।
শুধু তাই নয়, এই লাক্সারি রিসর্টে আছে মোট ১১টি রুম। তার মধ্যে আছে কনফারেন্স রুমও। অফিস পিকনিক বা আউটিংয়ে এসে সংস্থার মিটিং অনায়াসে করা যাবে। এখানে মিলবে ফ্রি ওয়াইফাই। দেদার নেট সার্ফিং করা যাবে। টিভি, ফ্রিজ, কাবার্ড সবই একেবারে সাজানো। যাকে বলে ফারনিশড। এখানে ২০০০ টাকা ভাড়া থেকে শুরু হচ্ছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত রুম। এখানে এসে ঐতিহ্যবাহী মহিষাদল রাজবাড়ি, তমলুক রাজবাড়ি, গেঁওখালির খ্রিস্টান পল্লী এবং হলদিয়া বন্দর ঘুরে দেখতে পাবেন পর্যটকরা। সঙ্গে কফি আর মাছ ভাজা থাকছে। গেঁওখালিতে পর্যটকদের নিꦫয়ে ট্যুর প্যাকেজ করার পরিকল্পনা করছেꦏ হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ।