চার চাকার গাড়ির মধ্যে থাকা যুবতীকে কটূক্তি করার অভিযোগ। আর এই ইভটিজিং থেকে বাঁচতেই চালালেন ভুল পথে গাড়ি। পানাগড়ের কয়েকজন মদ্যপ যুবকের হাত থেকে বাঁচতে ভুল পথে গাড়ি ঢোকাতে যান ওই যুবতী। আর তা করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তাঁর। মৃতার নাম সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি হুগলির চন্দননগরে। গাড়ি নিয়ে গয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে সুতন্দ্রা বেরিয়েছিলেন। ওই যুবতীর গাড়ির পিছু নিয়েছিল 𝕴অন্য একটি গাড়ি। তাতে কয়েকজন মদ্যপ যুবক ছিল। তাদের হাত থেকে বাঁচতেই যুবতীর গাড়ি চলে যায় রাস্তার উল্টো পথে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর। পানাগড়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার মাঝরাতে একটি ছোট গাড়িতে করে চালক–সহ পাঁচজন চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বুদবুদে একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরার পর থেকে পানাগড়ের কয়েকজন যুবক ওই ছোট গাড়িতে থাকা যুবতীর উ❀দ্দেশ্যে কটূক্তি করতে থাকে এবং পানাগড় পর্যন্ত ধাওয়া করে। রাতের হাইওয়েতে ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন যুবতী সুতন্দ্রা। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মী ছিলেন সুতন্দ্রা। আহত হন গাড়িতে থাকা আরও দু’জন। কাঁকসার এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। পথ দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় কাঁকসা থানার পুলিশ। তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। তবে ইভটিজাররা এখনও পলাতক।
আরও পড়ুন: মাসে গড়ে সাফাই ২৩ কোটি, সাইবার থানা ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার
অন্যদিকে পরে পানাগড় বাজারের রাইসমিল রোডের মুখে তাঁদের গাড়ি আটকালে ভয়ে চন্দননগরের ওই ছোট গাড়িটি রাইস মিল রোডে দ্রুত গতিতে ঢুকিয়ে দেয়। ছোট গাড়িটি তখনই প্রথমে একটি দোকানে ধাক্কা মারে। তার পর রাস্তার ধারে বাথরুমে ধাক্কা মেরে ব্যবসায়ীদের পড়ে থাকা লোহার যন্ত্রাংশে ধাক্কা মেরে রাস্তার উপর উল্টে যায়। গাড়িতে থাকা যুবতীর মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। বাকি দু’জন গুরুতর আহত অবস্থায় কাঁকসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুতন্দ্রা চন্দননগরের নাড়ুয়া রায়পাড়ার বাসিন্দা। কাঁকসার পানাগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ি নিয়ে সুতন্দ্রাদের গাড়িকে ধাওয়া করছিল কয়েকজন যুবক। প্রত্যে꧒কেই মদ খেয়ে ছিল। সুতন্দ্রাকে লক্ষ্য করে লাগাতার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, কটূক্তি করছিল তারা। ওই গাড়িটি দু’বার সুতন্দ্রার গাড়িকে ধাক্কাও মারে বলে অভিযোগ।
এছাড়া সাদা রঙের গাড়ি ধাওয়া করেছিল সুতন্দ্রাদের গাড়িকে। চালক রাজদূত শর্মার অভিযোগ, ‘প্রথমে আমাদের গ🅷াড়ি ধাওয়া করে। তারপর ম্যাডাম সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে খারাপ কথা বলতে থাকে। ওই গাড়িতে ছিল পাঁচজন যুবক। পরে আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। তার জেরে আমাদের গাড়ি ডিভাইডারে উঠে যায়। আমরা কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে আমাদের গাড়িকে আবার ধাক্কা মারে। তখন আমাদের গাড়িটি উলটে যায়। ওই যুবকরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে ম্যাডামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।’ জাতীয় সড়কে যুবꦚতীর হেনস্থা এবং মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই বড় প্রশ্ন তুলে দিল।