মদ্যপান করতে বসেছিল বন্ধুরা। আর সেই আসরেই বন্ধুদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় তুমুল বচসা। আর এই বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে তার জেরে এক বন্ধুকে খুনের অভিযোগ উঠল বাকিদের বিরুদ্ধে সোনারপুরে। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাসপল্লির এই ঘটনায় এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ছাতু বিক্রেতা বিশাল সাউকে (২৫) খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই বন্ধুদের বিরুদ্ধে। সুভাসপল্লির বাসিন্দা মৃত বিশাল সাউয়ের বাড়িতে আছেন তাঁর স্ত্রী ও আড়াই মাসের ছেলেꩵ। ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনার জেরে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে খুন করা হয়েছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ব൲িশাল সাউয়ের বন্ধু আকাশ পাইক তাঁকে ফোন করে মদের আসরে ডেকে পাঠায়। তবে বিশাল সাউকে মদের আসরে না যেতে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু বিশাল স্ত্রীর সেই অনুরোধ না শুনেই বাড়ি থেকে ব🍬েরিয়ে যান। সুভাসপল্লির একটি মাঠে আকাশ ছাড়াও রাকেশ এবং রাহুল নামে আরও দু’জন ছিল। তাদের সঙ্গে বিশাল মদ্যপান করছিলেন। আর ওই মদের আসরেই চারজনের মধ্যে হঠাৎ বচসা বাধে। আর তার জেরেই খুন হতে হয় বিশাল সাউকে বলে অভিযোগ উঠেছে। বন্ধুরাই বিশালকে মারধর করে মাঠে ফেলে চলে যায় বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: ‘হেরিটেজে হাত দেওয়ার অধিকার কারও নেই’, কফি হাউজে নির্মাণ নিয়ে সরব মেয়র
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম বিশাল সাউ (২৫)। পেশায় তিনি ছাতু বিক্রেতা। কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছে বিশালের। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং আড়াই মাসের ছেলে আছে। ফোন করে রাত পৌনে ১১টা নাগাদ বিশাল সাউকে সুভাষপল্লির মাঠে ডেকে পাঠায় বন্ধুরা। আর তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আকাশ পাইক নামে এক বন্ধু। স্ত্রী নিষেধ করলেও বিশাল কার্যত জোর করেই বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করতে বেরিয়ে যান। আকাশ ছাড়াও রাকেশ এব🎀ং রাহুল নামে আরও দু’জন ছিল ওই মাঠে। সেখানে মদের আসর বসেছিল।🔥 যেখানে এদের মধ্যে বচসা বাধে। তখন বিশালকে তুমুল মারধর করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। তাতেই মৃ্ত্যু হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
এছাড়া এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশালকে সেখান থেকে উদ্ধার করে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিশালের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার ন্যাশানাল মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ, বৃহস্পতিবার ভোরবেলা সেখানেই বিশাল মারা যান। বিশালের বাবা এই ঘটনায় সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশালের তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মধ্যরাতে বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারের সদস্যরাই হাসপাতালে নিয়ে যান। ধৃতদের🌊 পুলিশ জেরা করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে।