শীত পড়েছে বঙ্গে। হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডার আমেজ। আর এই আমেজ গায়ে মেখে রাস্তায় খেলতে নামলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মহিলা বিধায়ক। যা দেখে ভিড় জমে গ❀িয়েছে। রাজ্য–রাজনীতিতে বড় স্লোগান হয়ে ওঠে—’খেলা হবে’। সেখানে দুই বিধায়ক ব্যাডমিন্টন খেলছেন। এই খেলার মধ্যে আবার কোন রাজনীতি আছে? উত্তর খোঁজেন জনগণ। শাটল কর্ককে এক কোর্ট থেকে অন্য কোর্টে পাঠাচ্ছেন তখন ফিরদৌসী বেগম এবং লাভলি মৈত্র। শীতের রাতে শাড়ি পরেই ব্যাডমিন্টন কোর্টে দেখা গেল তাঁদের। এই ছবি এখন সোশ্য𓄧াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। তবে খেলা শেষে দু’জনেই বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে।’
এদিকে শাড়ি পড়েই র্যাকেট হাতে ব্যাডমিন্টন কোর্টে নামলেন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলী মৈত্র এবং সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক শেষে তাঁরা এসেছিলেন রাজপুর–সোনারপুরে পুরসভা এলাকায়। তারপর পুরসভার চেয়ারম🍸্যানের সঙ্গে মিটিং করে রাতে বের হচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই দেখতে পান কয়েকজন যুবককে র্যাকেট হাতে ব্যাডমিন্টন খেলতে। ব্যস, তখনই একে অপরকে প্রস্তাব দেন খেলার। আর দু’জনেই রাজি হওয়ায় নেমে পড়েন মাঠে। তারপর শাটল কর্কের উপর আধিপত্য কায়েম করেন তাঁরা।
অন্যদিকে বিধায়কদের সঙ্গে খেলায় যোগ দেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পুরপ্রধান পল্লবকান্তি দাস এবং পৌর পারিষদ সদস্য নজরুল আলি মণ্ডল। খেলা শেষেꩲ দু’জনেই জানান খুব ভাল লাগছে তাঁদের। শাড়ি পরে যখন মহিলা বিধায়করা খেলছিলেন তখন তা ছিল দেখার মতো। একে অন্যকে কার্যত বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন কে কতটা ফিট। তাছাড়া খেল🤪াটা তাঁরা যে খারাপ বোঝেন না সেটা একের পর এক স্ম্যাশ দিয়ে প্রমাণ করছিলেন। টানটান মুহূর্ত যাঁরা দেখেছেন তাঁদের অনেকেই এই খেলা ফ্রেমবন্দি করেছেন। জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ না হয়েও শীতে গা গরম করে তাঁরা এখন ভাইরাল।
আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট ইডির, দ✤েখ꧃ছেন বিচারপতি
এই খেলা শেষে প্রত্যেকেই হাসি মুখে বাড়ি ফেরেন। আর লাভলি মৈত্র বলেন, ‘আমি খুব ভালবাসি ব্যাডমিন্টন খেলতে। আজ এখানে খেলꦦার আয়োজন দেখে নিজেকে থামাতে পারলাম না। সবাই বলল খেলার জন্য। ভালো লাগছে। মাঝে মাঝেই যদি সময় হয়, তাহলে খেলার জন্য এখানে আসতে চাইব।’ আর ফিরদৌসী বেগমের কথায়, ‘কাজের জন্য তো আর খেলার সময় হয় না। অনেকদিন পর র্যাকেট হাতে পেয়ে ভাল লাগল। দু’জনে এসেছিলাম পুরসভায়। আমরা যখন বেরিয়ে যাচ্ছি তখন দেখলাম এখানে খেলা হচ্ছে। খেললাম।’