বিধানসভা নির্বাচনের আগে জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান করা হয়েছিল অধুনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। কেন্দ্রীয় সরকার তখন বলেছিল, জুট বা পাটকে লাভজনক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখানে মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল হাওড়া জুট মিল। করোনা আবহের মধ্যে কর্মহীন হলেন আড়াই হাজার শ্রমিক। এখানে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’–এর নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাঁচা মালের অভাবের জেরেই মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়ে দিয়েছে মালিকপক্ষ। মিল বন্ধ হতেইꦕ কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
হাওড়া জুট মিল কর্মীদের অভিযোগ, ২০২০ সালে লকডাউনের সময়কালে প্রায় ৯ মাস বন্ধ ছিল মিল। তিন মাস আগে মিল খুললেও সঠিক সময়ে মজুরি পাওয়া যাচ্ছিল না। সপ্তাহে চারদিন চলছিল মিলটি। এখন বন্ধ হয়ে সমস্যা আরও বাড়ল। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজ্যে তথা দেশে। সেখানে হঠাৎ করꦅে মিল বন্ধের নোটিশ সবাইকে দিশেহারা করে তুলেছে। রোজগার বন্ধ হয়ে গেলে সংসার চলবে কি করে!
এখানাকার কর্মী বিশ্বজিৎ রায় জানান, কম কর্মী নিয়ে দু’শিফটেই কাজ শুরু হয়েছিল। তাও মেনে নিয়েছিলাম। সময় মতো টাকা পেতাম না। তাও সহ্য করেছি। অথচ আজ যখন মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত তꦏখন মানুষকেই বেকার করে দেওয়া হল। বাজারে জিনিসপত্রের দাম আগুন। তার মধ্যে মিল বন্ধে সমস্যা আরও বাড়ল।