তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক এবং অধ্যাপক জীবন মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে ইএম বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জীবনবাবু🧸। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। জীবন মুখোপাধ্যায় সোনারপুর (দক্ষিণ) বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে দু’বার বিধায়ক হয়েছিলেন। অধ্যাপনার সঙ্গেই একাধিক বই লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখা পাঠ্যবই পড়ুয়াদের কাছে এখনও বেশ জনপ্রিয়।
এই জীবন মুখোপাধ্যায় বার্ধক্যজনিত কারণে ২০২১ সালে আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি🌃। ইতিহাস কেন্দ্রিক লেখা লিখতেন জীবনবাবু। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি💛। তাঁর হৃদযন্ত্রে কিছু সমস্যাও দেখা দিচ্ছিল। আজ, মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রয়াত হলেন তিনি। জীবনবাবুর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল, বুধবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রাক্তন বিধায়ক তথা অধ্যাপকের। জীবনবাবুর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জীবন মুখোপাধ্যায়ের অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। ২০১১ সালে সোনারপুর (দক্ষিণ) বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দল তাঁকে টিকিট দিলে জয়ী হন। তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালেও তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী থাকার সময় থেকে জীবন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তবে 🌄ইদানিং বার্ধক্য জনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্🌄বর শারীরিক অসুস্থতার জেরে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার পরেও জীবনবাবুর জীবন রক্ষা করা গেল না।
আরও পড়ুন: হাসিনার বোনঝির বিরুদ্ধে বিনামূল্যে ব্রিটেনে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগ, তদন্ত চাইলেন টিউলিপ নিজেই
এই ঘটনা যখন ঘটেছে তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগরে ছিলেন। আর এই খবর শুনে প্রচণ্ড ব্যথিত হন। কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন। তারপর এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘সোনারপুরের প্রাক্তন বিধায়ক এবং আমার সহযোদ্ধা জীবন মুখোপাধ্যায়ের আকস্মিক প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক এবং পাঠ্য বইয়ের লে🦹খক ছাড়াও তিনি জনপ্রিয় এবং সমাজকর্মী ꦛছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।’