এবার সল্টলেকে ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমনকী সেই ধর্ষণের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন চালানো হয়েছে ছাত্রীর উপর বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ পুলিশের কাছে দায়ের হতেই গা–ঢাকা দেয় শিক্ষক। কিন🐲্তু তাতেও লাভ হল না। কারণ মধ্যপ্রদেশ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে ছাত্রীর সঙ্গে? পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম প্রিয়স সিং সেঙ্গার। সল্টলেকে তার কোচিং সেন্টার রয়েছে। সেখানে সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এখান থেকেই পড়ুয়ারা আইপিএস, আইএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখাಌনেই এক ছাত্রীকে আরও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রলোভন দেখায় এই শিক্ষক প্রিয়স। আর এই প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ঢেকে নেওয়া হয় ছাত্রীকে। তারপর সেখানে গেলে ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। আর সেই ভিডিয়ো তুলে রাখা হয়।
ঠিক কী বলেছেন নির্যাতিতা♌? পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান, কোভিড আবহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তখন ডিসেম্বর মাস। সেই সময় কোচিং সেন্টারে অনলাইনেই ক্লাস নেওয়া হতো। একদিন শিক্ষক শ্রেয়স সিং সেঙ্গার তাঁকে আলাদাভাবে ক্লাস করাতে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিল। তখন সেখানে যেতে ঠাণ্ডা পানীয় দেওয়া হয়েছিল। সেটা পান করতেই ঘুম পায়। আর সেই সুযোগে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার অশ্লীল ভিডিয়ো তুলে রাখে শিক্ষক।
এই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে ব্ল্যাকমেল করা হয় এবং একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। তখনই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আর পরিবারের সদস্যরা তখন বিধাননগর মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তখনই গা–ঢাকা দেয় অভিযুক্ত শিক্ষক। কিন্তু ম🐽োবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে।