করোনার মৃতদেহ সৎকার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে এতদিন। নিমতলা শ্মশান থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। রাজ্য প্রশাসন নিয়ম মেনে দেহ সৎকার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। একই অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদেহ সৎকারের অব্যবস্থা তুলে ধরতে এবার একটি চিঠি প্রকাশ্যে আনল বিজেপি। তাতে বাঙুর হাসপাতালে মৃত এক ব꧅্যক্তির দেহ সরানোর জন্য টালিগঞ্জ থানার ওসিকে রীতিমতো তাড়া দিচ্ছেন হাসপাতালের সুপার।
২১ এপ্রিল লেখা ওই🎀 চিঠিতে বাঙুর হাসপাতালের সুপার শিশির নস্কর যাদবপুর থানার ওসিকে লিখছেন, নীচে উল্লেখ করা প্রয়াত ব্যক্তির দেহ অবিলম্বে সরানো দরকার। হাসপাতালের শবাগারে ইতিমধ্যে প্রচুর দেহ রয়েছে। যার ফলে মৃতদেহ অপসারণ নিয়ে আপস হয়ে যাচ্ছে। রোগীর পরিজনদের সঙ্গে অবিলম্বে যোগাযো🧜গ করা দরকার।
বলে রাখি, সপ্তাহখানেক আগে বাঙুর হাসপাতালের একটি ভিডিয়ো সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীদের শয্যার পাশেই পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। ওই ভাবেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে দাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚবি করা হয়েছে ভিডিয়োটিতে। তার আগেও বাঙুর হাসপাতালের আই꧟সোলেশন ওয়ার্ড থেকে একই রকম অভিযোগ মিলেছে।
বিষয়টি নিয়েඣ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্✤রী ফিরহাদ হাকিমের জবাব ছিল, ‘কেউ মারা গেলে চিকিৎসাশাস্ত্রের বিধি অনুসারে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তাঁকে মৃত ঘোষণা করা যায় না।’
তবে গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল বাঙুর হাসপাতাল পরিদর্শন করে রাজ্য সরকারকে এব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করেন। তার পর হাসপাতালগুল🍒িকে ওয়ার্ড থেকে দ্রুত দেহ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
চিঠি প্রকাশ্যে এনে বিজেেপির দাবি, একদিকে যেমন এই চিঠিতে রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় অব্যবস্থার ছবি প্রকাশ্য়ে এসেছে, তেমনই রাজ্যে মানুষ যে করোনায় কী হারে মারা যাচ্❀ছে তাও স্পষ্ট হয়েছে অনেকটা।