আজ, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরাট সভা হয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আর তার জেরে কর্মী–সমর্থকরা ব্যাপক ভিড় করেন। আর এখান থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা সংশোধন, সংযোজনের প্রক্রিয়ায় কী ভাবে কাজ করতে হবে, সেই সংক্রান্ত বার্তাও দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৃহস্পতিবার এই সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্𓆉যায় একটি কোর কমিটি গঠন করে দিলেন। যাতে ভোটার তালিকা থেকে ভূতুড়ে ভোটার বের করা যায়। ভোটার তালিকায় বিজেপি কৌশলে ভূতুড়ে ভোটার ঢুকিয়েছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। আর তারপরই জরুরি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রের খবর। তারপরই কড়া ব্যবস্থার পথে নির্বাচন কমিশন যাচ্ছে।
এদিকে আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরেছিল। আর তার মধ্যেই ভোটার তালিকায় কারচুপি ধরতে প্রত্যেক জেলায় কোর কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওই কমিটি ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করবে। দ্রুত রিপোর্ট দিতে হবে। জেলা থেকে ওই কমিটির কাছে রিপোর্♛ট আসবে। আমি নির্বাচন কমিশনকে খুব সম্মান করতাম। জানেন সদ্য কে নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সচিবকে করেছে মুখ্য নির্বাচ꧒ন কমিশনার। এই কমিশন বিজেপির সেটিং করা।’ এইসব অভিযোগ ওঠার পরই একই এপিক নম্বরে কার্ড ভিন রাজ্যে আছে কিনা সেটা খুঁজে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাল কার্ড ধরতে উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ভূতুড়ে ভোটার ধরতে নামছে কোর কমিটি, তালিকা প্রস্তুত করলেন মমতা
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরা সভায় জানান, ভোটার তালিকা সংশোধন করার কাজে একটি কোর কমিটি তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ওই কোর কমিটির সদস্যদের মধ্যে প্রত্যেকদিন ৪ জন করে অফিসে বসবেন। তাঁরা এই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ কার্ডের বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন। বিজেপি বাংলায় দুটি এজেন্সিকে পাঠিয়েছে। যারা একই এপিক নম্বরে বেশ কয়েকটি নাম জুড়ে দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকা🌺র কথা বলেছেন। অভিযোগ পেলেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পরই বৈঠক হয় নির্বাচন কমিশনে। সব জেলার এডিএম এবং ইয়ারও’দের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের কর্তারা। কয়েকটি জেলা থেকে একই নম্বরের এপিক কার্ডের কথা জানতে পেরেছে কমিশন। সেসব অভিযোগ কেন্দ্রীয় কমিশনে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।