গার্ডেনরিচের ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘এই ঘটনার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে কাজ করতে গেলে অনেকের ওপর নির্ভর করত হয়। তবে সবাই সব সময় ঠিক মতো কাজ করে না।’
সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
গার্ডেররিচে নির্মিয়মান বাড়ি ধসে মৃত্যুমিছিলে লাগাতার সমালোচনার মুখে পড়েছে কলকাতা পুরসভা ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িটি যে সম্পূর্ণ বেআইনি তা স্বীকার করে নিয়েছেন মেয়র ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বীকার করলেন, পাঁচিল তুললে, এমনকী বাড়ি রং করলেও টাকা নেন কাউন্সিলরদের একাংশ।
এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিরহাদ বলেন, ‘কিছু কাউন্সিলর পাঁচিল তুলতে, রং করতেও টাকা নেয়। আবার বেশিরভাগ কাউন্সিলর আছে যারা এসবের মধ্যে থাকে না’।
গার্ডেনরিচের ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘এই ঘটনার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে কাজ করতে গেলে অনেকের ওপর নির্ভর করত হয়। তবে সবাই সব সময় ঠিক মতো কাজ করে না।’
বিরোধীদের দাবি, গার্ডেনরিচসহ গোটা কলকাতায় মোটা টাকার বিনিময়ে জলাভূমি ভরাট করে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। তৃণমূলের, নেতা, মন্ত্রী, কাউন্সিলর, বিধায়কদের মোটা টাকা দিয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ এড়িয়েছেন প্রোমোটাররা। এর সূত্রপাত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জমানায় দক্ষিণ কলকাতায় জলাভূমির একাংশ ভরাট করে বিলাসবহুল আবাসনের একের পর এক টাওয়ার তৈরির মাধ্যমে। অনেক সময় তৃণমূল নেতা, মন্ত্রীরাই বেনামে প্রোমোটারিতে যুক্ত হয়ে পড়েছেন। যার ফলে টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটের নামে মৃত্যু কিনছে মানুষ।