একমাসে সব পুজো। আর তার জেরে খরচও হয়েছে মধ্যবিত্ত মানুষজনের। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোর পর একই মাসে ভাইফোঁটা। কিন্তু ততক্ষণে অক্টোবর মাস শেষের পথে। সুতরাং পকেট প্রায় গড়ের মাঠ। তাহলে কি আতিথেয়তায় কার্পণ্য করতে হবে? পঞ্জিকা মতে, ভাইফোঁটার দ্বিতীয়া তিথি শুরু বুধবার দুপুর থেকে। আবার ཧশুক্লপক্ষের রীতি মেনে বৃহস্পতিবারই ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দেবেন বোনেরা। আর কলকাতার বাজারগুলিতে সব জিনিসেরই দাম বেশ চড়া।
কেমন প্রভাব পড়েছে বাজারে? উত্তর কলকাতার হাতিবাগান থেকে নিউ মার্কেট বা দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট—সর্বত্র ঢিমেতালে চলছে কেনাকাটা। ভিড় দেখা গেল না। তবে শপিংমলগুলিতে একটু ভিড় দেখা গিয়েছে। তাহলে কি বাঙালি মুখ ফেরাচ্ছে পুরনো বাজারগুলি থেকে? এই বিষয়ে কিছু দোকানদাররা বলছেন, ‘শপিং মলে ভিড় মানেই যে সবাই কেনাকাটা করছেন তা নয়। ওখানে কেউ সিনেমা দেখতে যান আবা🎉র কেউ খেতেও যান। সেখানে যাঁরা কেনাকাটা করেন, তাঁদের বেশিরভাগই আমাদের খরিদ্দার নন। আমাদের কাছে যাঁরা কিনতে আসেন, তাঁদের বড় অংশের চলে মাস মাইনে থেকে। ভাইফোঁটা পড়েছে মাসের শেষে। তাই কাস্টমারদের আনাগোনা কম।’
আর কী দেখা যাচ্ছে? ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে যাদবপুর, বউবাজার, ধর্মতলা এবং বেথুন কলেজের পꩵাশে প্রাচীন মিষ্টির দোকানগুলি সেজে উঠেছে। রসগোল্লা, গজা, অমৃতি থেকে হরেকরকম সন্দেশ ꧂সাজিয়ে তোলা হয়েছে।ꦓ কড়াপাকের সন্দেশ, সুগার ফ্রি সন্দেশের চাহিদাও তুঙ্গে। তবে দামের তুলনায় আকার ছোট হয়ে গিয়েছে বলে মত অনেকেরই। দোকানিরা বলছেন, চিনির দাম বেড়েছে। তাই মিষ্টিরও দাম বেড়েছে।