নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে মেলেনি বীর্য। তবে আরজি কর কাণ্ডে একাধিক মানুষের জড়িত থাকার সন্দেহ পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই সময় পত্রিকার এক প্রতিবেদনে সিএফএসএল-এর রিপোর্টের উল্লেখ করা হয়েছে। তাতেই নাকি বলা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরে একাধিক ব্যক্তির মিশ্র ডিএনএ ছিল কি না, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গত ২১ অগস্ট এই রিপোর্ট সিবিআইকে দিয়েছিল সিএফএসএল। এই আবহে ফের আরজি কর কাণ্ডে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'ভয় পেতাম না...', নিজ🐲ের 'মৌন PM' তক♔মা নিয়ে যা বলেছিলেন মনমোহন সিং)
আরও পড়ুন: 'খুনের ষড়যন্ত্র', ভারত-বাংলাদেশ চুক্তির 'ফাঁকে' ফেরানো যাবে না হাসিনাﷺকে?
উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই আরজি কর আন্দোলনের প্রতিবাদীরা দাবি করে এসেছে, এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় নির্যাতিতা এবং ধৃত সঞ্জয় রায়ের একাধিক ডিএনএ টেস্ট করানো হয়েছিল। এই আবহে সিএফএসএল-এর সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, নির্যাতিতার স্তনবৃন্ত, পায়ু, যোনিদ্বারে সোয়াব নমুনায় 'মাল্টিপল অটোজোমাল প্রোফাইল'-এর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ, সেখানে একাধিক ব্যক্তির ডিএনএ থাকতে পারে। (আরও পড়ুন: 'ইতিহাস আমার প্রতি সদয় হবে', মিডিয়ার ওপর যখন 'অভিমান' করেছ﷽িলেন মনমোহন)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘ🐼ুদের বাডꦗ়ি পোড়ানোর ঘটনায় পদক্ষেপ পুলিশের, ধৃত ৪
এদিকে কয়েকদিন আগেই আরজি কর কাণ্ডের সিএফএসএল রিপোর্ট নিয়ে আরও একটি প্রতিবেদন ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছিল। উল্লেখ্য, সেমিনার রুমেই কি খুন হয়েছিলেন আরজি করের চিকিৎসক নাকি অন্য কোথাও খুন করে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছিল? তা নিয়েও এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি বলে দাবি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। সম্প্রতি সিএফএসএল-এর এক রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসে। সেই ১২ পাতার রিপোর্টে বলা হয়, সকলের নজর এড়িয়ে সেমিনার রুমে প্রবেশ করা ও অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ক্ষীণ। এদিকে যে ম্যাট্রেসে পাওয়া গিয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানে ধর্ষণ খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এনিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। তবে সেখানেই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি অনেকেরই মনে। (আরও পড়ুন: 'সার🌌া বিশ্ব স্পষ্ট🅰 ভাবে শুনুক…', ৯১'র বাজেটে কী বলে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মনমোহন?)
আরও পড়ুন: বাংল༺াদেশ সচিবালয়ের♊ আগুনে তদন্ত কমিটি গঠন করেও বাতিল, তারপর...
দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ফরেন্সিক মেডিসিন, স্ত্রীরোগ, অস্থি, শল্য ও চক্ষু বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মোট ১১ জনের মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল আরজি কর কাণ্ডের পর্যালোচনার জন্যে। এই আবহে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের প্রেক্ষিতে ৪টি বৈঠক করেছিলেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এরপরই গত ২১ সেপ্টেম্বর নিজেদের মতামত একটি রিপোর্ট আকারে সিবিআইকে দিয়েছিল সেই বোর্ড। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে বলপূর্বক ভোঁতা কোনও বস্তু কিংবা যৌনাঙ্গ ছাড়া অন্য কোনও অঙ্গ প্রবেশের ইঙ্গিত মিলেছে। এর জেরে অনেকেই এই ঘটনায় দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রেও নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে ♉অত্যাচার চালানো হয়েছিল। এদিকে সেই বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঘটনা একজন ঘটিয়েও থাকতে পারে।