৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তৎপরতা ইডির। শীতের সকালে শহরের ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ কলকাতার বেহালায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছেন ইডি অফিসাররা। জানা গিয়েছে, সেই ব্যবসায়ীর নাম দীপক জৈন। এছাড়াও হাওড়ার শিবপুরেও হানা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ইডির অভিযোগ, একটি স্টিল কোম্পানি ৬০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা করেছে। সেই মামলার তদন্তেই এই তল্লাশি অভিযান ইডির। (আরও পড়ুন: সাংবিধানিক সংস্কারে বꩲাংলাদেশ🌺ের নাম বদলের সুপারিশ, কী হতে পারে নয়া নাম?)
আরও পড়ুন: আদানি, SEBI প্রধানকে নিয়ে বিস্ফোরক সব দাবি করা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ব💮ন্ধ হচ্ছে
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সঞ্জয় সুরেখা নামক এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ছিল ইডি। স্টিল কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৪ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জানা যাচ্ছে, সেই মামলার সূত্রপাত ধরেই আজ ব্যবসায়ী দীপক জৈনের বাড়িতে হানা দিয়েছেন ইডি অফিসাররা। অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থার নাম করে অবৈধ ভাবে আর্থিক লেনদেন করা হত এই প্রতারণা মামলায়। (আরও পড়ুন: নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের সুপারি𒀰শ, 'আমেরিকা' হতে চাইছে বাংলাদেশ?)
এই মামলায় আদালতে ইডি অভিযোগ করেছিল, বিগত প্রায় ১০ বছর💦ে ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক আমানত তছরুপ করা হয়েছে। সঞ্জয় সুরেখাকে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করে ইডি বলেছিল, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৬টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল এবং ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে শতাধিক ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। পরে ২০১৯ সালে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ဣব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ২০২২ সালে সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি।