যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ করে পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানও তলে তলে পাল্টা হামলা করার ছক কষছে। সুতরাং যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। আর তার ফলে দাম বাড়তে পারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। লাগাছাড়া দামের জেরে নাভিশ্বাস উঠতে পারে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নমꦺধ্য়বিত্ত শ্রেণি মানুষজনের। কারণ এই মওকায় একশ্রেণির অসাধু ব্য়বসায়ীরা কৃত্রিম অভাব তৈরি করে অতিরিক্ত টাকাকড়ি লাভ করতে চেষ্টা করবে। এই নিয়ে এবার কড়া দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে বৈঠক করেন ব্যবসায়ী এবং টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে। আর সেখানেই শাক–সবজি–মাছের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আলু, পেঁয়াজের দাম যেন আর না বাড়ে। গতবছর থেকে এখন দাম কম আছে। কিন্তু আদার দাম এত বেশি কেন? আদা আমরা উৎপাদন করতে কি পারি না? সেই জায়গা দেখা হোক। সুফল বাংলা ভাল কাজ করছে। আরও ১🌞০০ আউটলেট হবে। বাজারের থেকে কম দামে সুফল বাংলা দিচ্ছে সবজি। কিন্তু বাজারে যেন দাম না বাড়ে এটা দেখতে হবে। শশার দাম বাড়ছে কেন? সেটা ভাল করে দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান গড়ে তুলতে গ্রামবাসীদের দুয়ারে পঞ্চায়েত সমিতি, কী বার্তা দিল?
রাজ্য সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি টাস্ক ফোর্স আছে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকের পরই আজকের বৈঠকে যোগ দিতে টাস্ক ফোর্স সদস্যরা তৎপর হয়ে ওঠে। একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে ছিলেন। প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষকর্তারা এই বৈঠকে ছিলেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ যেন কালোবাজারি না করে। বেশি টাকার লোভে যেন সীমান্ত পেরিয়ে সবজি না যেতে পারে। হিমঘরে যে পরিমাণ আলু আছে তা চাহিদার থেকে অনেক বেশি। মুরগির মাংসের দাম বেশি আছে। হাঁসের মাংস পাওয়ার জন্য পোলট্রি করে দিয়েছি। সেই মাংস যাচ্ছে কোথায়? সেই মাংস বাজারে নিয়ে আসুন। প্রতিযোগিতা নিয়ে এলে তব🌌েই দাম কমবে।’