একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্র টাকা দেওয়া সত্ত্বেও বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছেনা রাজ্য। তারপরে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ। আর এবার পরিশ্রুত পানীয় জল পরীক্ষাতেও সব রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে শীর্ষে বাংলা। রাজ্যে পানীয় জলের গুণগতমান পরীক্ষার জন্য ১৪৪ টি ল্যাবরেটরি রয়েছে। যার মধ্যে ১৪৩ টি ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং এন্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি🀅র (এনএবিএল) স্বীকৃতি পেল। যা স্বাভাবিকভাবেই বাংলার মুকুটে নয়া পালক।
আরও পড়ুন: বিধাননগর পুরসভার 🐭৭৫ হাজার বাসিন্দা পাবেন পরিশোধিত পানীয় জল
অনেক রাজ্য রয়েছে যেগুলিতে এই পরীক্ষাকেন্দ্র একটি, আবার কোনও কোনও রাজ্যে একটিও এই ধরনের কেন্দ্রের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পরীক্ষা কেন্দ্র নেই। সেই সব দিক দিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে শীর্ষে পশ্চিমবাংলা। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে এই স্বীকৃত ল্যাবরেটরির সংখ্যা মাত্র এক﷽টি। মধ্যপ্রদেশে ১০৬ টি, গুজরাতে ৭৫টি, মহারাষ্ট্রে রয়েছে ৩৪টি এনএবিএল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ল্যাবরেটরি। এছাড়া, মণিপুরে ৩টি এবং মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে একটি করে এই পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। আবার উত্তরাখণ্ড এবং মিজোরামে এই ল্যাবরেটরি একটিও নেই। এরপরেই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার পানীয় জল সরবরাহ বা পরীক্ষা নিয়ে কোনভাবে ফাঁক রাখতে চায়ছে না। যার ফলে কোনও গাফিলতি খুঁজে পাচ্ছে না কেন্দ্র। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করলেও বরঞ্চ কেন্দ্রের কাছে প্রশংসাই অর্জন করছে রাজ্য। মুখ্য সচিব এই প্রকল্প নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি ব্লক ধরে ধরে বৈঠক করেছেন। জল সরবরাহের গুণগত মান নিয়ে তিনি সমীক্ষা করতে বলেছেন।
জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৫ লক্ষেরও বেশি বাড়িতে নলবাহিত জল রয়েছে। যা দেশের মধ্যে ৩৫ শতাংশের বেশি। রাজ্য সরকারের আশা লোকসভা ভোটের আগে ৫৫ শতাংশ মানুষের বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। শুধুমাত্র বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সেই ✤জল যাতে পরিশ্রুত এবং শুদ্ধ হয় তারপরেও জোর দিচ্ছে রাজ্য। আর সেই কারণেই বেশি করে পরীক্ষা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
উল্লেখ, প্রত্যেকটি বাড়িতে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় নল বাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মূল উদ্দেশ্য গ্রামীন এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর কাজ কর▨ছে। এই প্রকল্পে আগেই ভারতের মধ্যে সেরা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।