আদালতের নির্দেশে ২০১৬র SSCর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ফের নিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই নতুন দুর্নীতির গন্ধ পেতে শুরু করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের পুনর্নিযোগ করতে সুচতুরভাবে নতুন পরীক্ষার নম্বর বিভাজন করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে SSCর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। সেখানে ৬০ লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১০ নম্বর, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ ১০ নম্বর, ইন্টারভিউর জন্য ১০ নম্বর ও ক্লাসে পড়ানোর দক্ষতার ওপর ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। আর এখানেই ফের দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। কারণ ২০১৬ সালের পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫৫ নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৫ নম্বর ও পার্সোন্যালিটি টেস্টের ওপর বরাদ্দ ছিল ১০ নম্বর। অর্থাৎ শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বরাদ্দ নম্বর ৩৫ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ১০। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘যারা দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়ায় চিহ্নিত নন তাদের এই নিয়মে অনেকটা সুবিধা হবে। নতুন চাকরিপ্রার্থীরা এই নিয়মে কিছুটা অসুবিধার মুখে পড়বেন। ইন্টারভিউ ও পড়ানোর দক্ষতায় নম্বর বেশি দেওয়ার সুযোগ থাকলে সেখানে কারচুপির সম্ভাবনা থাকে। সরকার ইচ্ছা করলে সেখানে কাউকে কম নম্বর বা কাউকে বেশি নম্বর দিতে পারে। আমরা বুঝতে পারছি না সরকার নতুন কোনও আইনি জটিলতাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে কি না।’
আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘নতুন বিধি আগের থেকে অনেকটা পরিবর্তন করা হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য বরাদ্দ নম্বর ৩৫ থেকে কমিয়ে ১০ করা হয়েছে। এর মানে যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা খারাপ তাদের নেওয়ার রাস্তা তৈরি করা।’
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাজ্য সরকার ইচ্ছা করে বারবার জটিলতা তৈরি করছে। কারণ এই রাজ্য সরকার চাকরি দিতে চায় না। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার সম্পূর্ণভাবে শূন্য। এই সরকার পড়ানোর দক্ষতা ও ইন্টারভিউর নম্বর বাড়িয়ে যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় আছে। কারণ অযোগ্যরা টাকা দিয়েছে।’