শুভব্রত মুখার্জি: ২০০৭ সালেই প্রথম বার শুরু হয়েছিল আইসিসির টি২০ বিশ্বকাপ। প্রথম বার ফাইনালে ভারত মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানের। এক রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের সাক্ষী থেকেছিল সমর্থকেরা। একেবারে শেষ ওভার পর্যন্ত গড়িয়েছিল ম্যাচ। জেতার জায়গায় পৌঁছে গিয়েও, সেদিন ম্যাচ হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। যোগিন্দর শর্মাকে স্কুপ করে মারতে গিয়ে মিসবাহ সেদিন তালুবন্দি হয়েছিলেন শান্তাকুমারম শ্রীসন্থের।▨ এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে রয়েছেন মিসবা উল হক। শনিবার লেজেন্ডসদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালেও খেলেছেন পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে। এমন আবহেই তিনি ২০০৭ সালের সেই ফাইনাল নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন মিসবা। কার্যত মেনে নিয়েছেন, সেদিন তাঁদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণেই হারতে হয়েছিল পাকিস্তান দলকে।
স্টার স্পোর্টসের এক শো-তে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কারণ ওই দিন ফাইনালে যে ধরনের উইকেট ছিল, তাতে আমরা মনে করেছিলাম, ফাইনাল আমরা জিতব। বাউন্ডারিও খুব ছোট ছিল।ফলে আমাদের বিশ্বাস ছিল, আমরা জিতব। ভারতের পক্ষে বিষয়টা কঠিন ছিল।কারণ তারা স্পিনারদের উপর নির্ভরশীল ছিল। ছোট বাউন্ডারি এবং ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ম্যাচটা ওদের জন্য কঠিন ছিল। কারণ জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডা🌊রার্সে স্পিনারদের পক্ষে ম্যাচে ইমপ্যাক্ট ফেলাটা খুব কঠিন। আর ওই সময়ে ওদের প্রধান বোলার ছিল হরভজন সিং। সাইড বাউন্ডারি ছোট ছিল ফলে ওর জন্য সমস্যা আরও বেশি ছিল। আর তার উপর আমরা স্পিনটা ভালো খেলি।’
আরও পড়ুন: ভারতের লেজেন্ডদের হাতেও বধ পাকিস্তান, ওয়ার𒆙্ল্ড চ্যাম্পিয়ানশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস যুবিদের
ফাইনালে সেদিন প্রথমে ব্যাট 🥃করে ভারত ১৫৭ রান করেছিল। জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৫৮ রান। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মিসবা বলেন, ‘আমাদের কাছে ওই জয়ের টার্গেটটা কখনও-ই সমস্যার কিছু মনে হয়নি। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, আমরা ওই রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেব। আমাদের শুরুটা ভালো হওয়ার প্রয়োজন ছিল। তবে প্রথম ২-৩ ওভারে আমরা কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। ইমরান নাজিরের রান আউটটা আমাদের উপর চাপ তৈরি করে দেয়। একটা সময়ে তো আমাদের রান ছিল ৭৭ রানে ছয় উইকেট। আমরা এতগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলার ফলে আমাদের জয়ের লক্ষ্য বেশ কঠিন হয়ে যায়। আমার যেটা মনে হয় ওই দিন ওই ফাইনালে আমরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়েই নিজেদেরকে ডুবিয়েছি। শেষ ওভারে আমাদের জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিল। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম দুটো বল আমার ব্যাটের মাঝে লাগলেই আমরা জিতব। শেষ ওভারের শুরুতেই আমি একটি ছয় মারি। মনে হয়েছিল ভাগ্য আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এরপর ওই শটটা আমি খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যাই। ক্রিকেট এইরকমই হয়। একটি উইকেট যখন বাকি থাকে তখন বোলিং দল ম্যাচে এগিয়েই থাকে। একটা ভুল ব্যাটিং দল করলেই ম্যাচ শেষ। আর সেটাই হয়েছে।’