ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাঁচিতে। ধ্রুব জুরেলের লড়াইয়ের অর্ধশতকের সাহায্যে, ভারত প্রথম ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরে আসে। জুরেলের ৯০ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৩০৭ রান করে ভারত এবং ইংল্যান্ডের লিডকে ৪৬ রানে সীমাবদ্ধ করে টিম ইন্ডিয়া। ধ্রুব জুরেলের ৯০ রানের শক্তিশালী ইনিংসের প্রশংসা করছেন সকলে। গত বছর ভারতের হয়ে অভিষেক হওয়া রিঙ্কু সিংও ধ্রুব জুরেলের প্রশংসা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধ্রুবের জন্য একটি আবেগঘন বার্তাও শেয়ার করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা ক্রিকেটার রিঙ্কু সিং।
রাজকোটে অভিষেকে ৪৬ রান করা ধ্রুব জুরেল চাপটা ভালোভাবে সামলে নেন এবং ক্যারিয়ারের সেরা ৯০ রান করেন তিনি এবং তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন জুরেল। ভারতের প্রথম ইনিংসে অষ্টম উইকেটে কুলদীপ যাদবের (২৮) সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন ধ্রুব জুরেল। এরপরে অভিষেককারী আকাশ দীপের (০৯) সঙ্গে নবম উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়েন তিনি। ধ্রুব জুরেলের প্রশংসা করেছেন সুনীল গাভাসকর। তিনি বলেছেন যে ধ্রুব জুরেল টিম ইন্ডিয়ার পরবর্তী এমএস ধোনি হওয়ার পথে রয়েছেন। এরপরে ধ্রুব জুরেলকে নিয়ে রিঙ্কু সিং নিজের পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার ভাই, স্বপ্ন সত্যি করার সময় এসে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: WPL 2024: ব্যাট হাতে দুরন্ত হরমনপ্রীত! গুজরাট জায়ান্টসকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
ধ্রুব জুরেল এবং রিঙ্কু সিংয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব খুবই গভীর। আইপিএলে রিঙ্কু তার রুমমেট। জুরেল TOI কে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘তিনি লর্ড রিঙ্কু। তিনি একজন অত্যন্ত ভদ্র এবং বিনয়ী ব্যক্তি। সে আমার রুমমেট। সে যখন পাঁচটি ছক্কা মেরেছিল তখন সে আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিল কেমন লাগলো, বল কেমন লাগলো? তারা কি আমার সম্পর্কে কথা বলছিল?’
হার্টলির বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন ধ্রুব জুরেল। অলি রবিনসন ৫৯ রানে তাঁকে জীবন দান করেন। এরপর বশিরের বলে একটা চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। তাঁকে বোল্ড করে সেঞ্চুরি করতে দেননি ইংল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার হার্টলি। ভারতের প্রথম ইনিংসে আউট হওয়া শেষ ব্যাটসম্যান ছিলেন ধ্রুব জুরেল।
আরও পড়ুন: IND vs ENG 4th Test: প্রত্যেক ইনিংসে নতুন ওপেনিং বোলার! এর আগে এমনটা ঘটেছিল মাত্র তিনবার
ম্যাচের কথা বলতে গেলে, ধ্রুব জুরেলের আগে, যশস্বী জসওয়ালও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং তিনি ৭৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। এই দুই তরুণ খেলোয়াড়ের সুবাদে ইংল্যান্ডের স্কোরের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল ভারত। প্রথমে ব্যাট করে জো রুটের অপরাজিত সেঞ্চুরির ভিত্তিতে ইংল্যান্ড বোর্ডে ৩৫৩ রান তোলে। একটা সময় ছিল যখন অর্ধেক ইংলিশ দল ১১২ স্কোর করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিল। এরপর জো রুট প্রথমে বেন ফক্স ও পরে অলি রবিনসনের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান।