নেটে দীর্ঘ সময় ব্যাট করা যে যশস্বী জসওয়ালের বহু পুরনো অভ্যাস, ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা এতদিনে সেটা জেনে গিয়েছেন। তবে রাজস্থান রয়্যালসের ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন এমন এক ঘটনার কথা জানালেন, যা শোনার পরে বোঝা যায় যে, অনুশীলনে স্বেচ্ছ্বায় কখনও নেট ছাড়েননি টিম ইন্ডিয়ার তরুণ তুর্কি। বরং তাঁকে বরাবর জোর করে নেট থেকে বার করা হয়।
আইপিএল তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবের পর থেকেই যশস্বী স্পটলাইট কেড়ে নিয়েছেন নিজের দিকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে সব থেকে দ্রুত হাফ-সেঞ্চুরি করার রেকর্ডও রয়েছে যশস্বীর ঝুলিতে। গত মরশুমেই আইপিএলে মাত্র ১৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন জসওয়াল। তবে অনুরাগীদের এটা জানা ছিল না যে, গত মরশুমে রাজস্থান রয়্যালসের সাপোর্ট স্টাফদের হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছিল যশস্বীর জন্য।
আসলে রাজস্থান রয়্যালসের থ্রো ডাউন স্পেশালিস্টরা যশস্বীকে বল ছুঁড়ে ছুঁড়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি তাঁদের কাঁধের হাড় পর্যন্ত সরে গিয়েছিল, যার ফলে তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করতে হয়। সুস্থ হয়ে এবার তাঁরা পুনরায় রাজস্থান শিবিরে ফিরেছেন।
আইপিএল ২০২৪ শুরুর আগে রাজস্থান দলনায়ক সঞ্জু স্যামসনের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, দলের কোন ক্রিকেটার নেটে সব থেকে বেশি সময় ব্যাট করেন। জবাবে স্যামসন বলেন, ‘জসওয়াল ছাড়া আর কে।’ তার পরেই অজানা এক ঘটনা সামনে আনেন সঞ্জু।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্র্যাক্টিস ক্যাম্পে চারজন সর্দার জি রয়েছেন। তাঁদেরকে কাট, পুল, ফ্লিক ও ড্রাইভ বলে ডাকা হয়। যেঁ শুধু কাট শটের জন্য বল ছোঁড়েন তাঁকে কাট বলা হয়, ঠিক তেমনই যেঁ শুধু পুল শটের জন্য বল ছোঁড়েন, তাঁকে পুল বলে ডাকা হয়। বাকিদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা তেমনই। গত মরশুমে যশস্বীর জন্য চারজনেরই কাঁধের হাড় সরে যায়। রাজস্থানকে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হয়। হাসপাতাল থেকে ফিরে এবছর ফের শিবিরে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। সুতরাং, শুধু ক্রিকেটাররাই নয়, বরং সাপোর্ট স্টাফরাও চোট পাচ্ছেন যশস্বীর জন্য।’