গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে আক্ষরিক অর্থেই রানের পাহাড়ে চড়ল অস্ট্রেলিয়া। তারা প্রথম ইনিংসে ৬৫০ টপকে ব্যাট ছাড়ে। দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেন ওপেনার উসমান খোয়াজা। দাপুটে শতরান করেন ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ। ঝোড়ো সেঞ্চুরি করেন অভিষেককারী জোশ ইংলিস। মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি করেন ট্র্যাভিস হেড।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। অনুকূল পরিস্থিতিতে স্কোরবোর্ডে বিরাট রান তোলার দিকেই নজর ছিল তাদের। যাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে না হয়, সেই চেষ্টাতেই নিজেদের প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে বিরাট রান তোলে তারা। অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ৬৫৪ রান তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। তারা ব্যাট করে সাকুল্যে ১৫৪ ওভার।
এই নিয়ে চারবার কোনও সফরকারী দল গলে ৬০০ বা তারও বেশি রানের টেস্ট ইনিংস গড়ে তোলে। ২০০০ সালে পাকিস্তান ৮ উইকেটে ৬০০ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেয়। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ৬৩৮ রানে অল-আউট হয়। ২০১৭ সালে ভারত ৬০০ রানে অল-আউট হয়। এবার অস্ট্রেলিয়া ব্যাট ছাড়ে ৬ উইকেটে ৬৫৪ রানে। অর্থাৎ, গলে সফরকারী দল হিসেবে সব থেকে বেশি রানের টেস্ট ইনিংস গড়ে অজিরা।
ট্র্যাভিস হেডের হাফ-সেঞ্চুরি
ওপেন করতে নেমে ট্র্যাভিস হেড ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ১০টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
উসমান খোয়াডার ডাবল সেঞ্চুরি
অপর ওপেনার উসমান খোয়াজা ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১৩৫ বলে। সাহায্য নেন ৮টি চার ও ১টি ছক্কার। প্রথম দিনের শেষে খোয়াজা নট-আউট ছিলেন ব্যক্তিগত ১৪৭ রানে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই খোয়াজা ১৫০ রানের গণ্ডি টপকান ২২৩ বলে। সাহায্য নেন ১০টি চার ও ১টি ছক্কার। শেষমেশ ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৯০ বলে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন উসমান। শেষ পর্যন্ত ৩৫২ বলে ২৩২ রান করে আউট হন খোয়াজা। মারেন ১৬টি চার ও ১টি ছক্কা।
অধিনায়কোচিত শতরান স্টিভ স্মিথের
ক্যাপ্টেন স্টিভ স্মিথ ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১৭৯ বলে। সাহায্য নেন ১০টি চার ও ১টি ছক্কার। শেষে ২৫১ বলে ১৪১ রান করে আউট হন স্মিথ। তিনি সাকুল্যে ১২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
অভিষেকেই শতরান ইংলিসের
টেস্ট অভিষেকে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জোশ ইংলিস। তিনি ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন ৯০ বলে। সাহায্য নেন ১০টি চার ও ১টি ছক্কার। শেষমেশ ৯৪ বলে ১০১ রান করে আউট হন ইংলিস।