ভোট বড়ো বালাই। ভোটে সাধারণ মানুষের মন পেতে কত কী না করতে হয় প্রার্থীদের। কেউ খাচ্ছেন চা, কেউ বা দুপুরে পাত পেড়ে খাচ্ছেন দুপুরের খাবার। মঙ্গলবার পোলবায় রাজহাট পঞ্চায়েতে প্রচারে গিয়ে ওলাইবিবি তলায় রান্না করেন হুগলির বিজেপি প্রার্থী লটেক চট্টোপাধ্যায়। এবার বলাগড় বিধানসভার বোড়ো মালপাড়ায় ভোটের প্রচার গিয়ে হরিসভায় নাম সংকীর্তনে অংশগ্রহণ লকেট। বাজালেন খঞ্জনিও।
বৃহস্পতিবার বোড়ো মালপাড়ায় প্রচারে যান লকেট। সেখানে বসছিলে এক নাম সংকীর্তনের আসর। গ্রামে মহিলার ছিলেন সেখানে। প্রচার করেতে গিয়ে সেই আসর যান তিনি। মহিলারা তাঁকে মালা পরিয়ে বরণ করে নেন। এর পর কীর্তনিয়াদের সঙ্গে তাঁকে খঞ্জনি বাজাতে দেখা যায়। এর পর হরিনামের সঙ্গে নাচ শুরু হলে বিজেপি প্রার্থী দুহাত তুলে নাচও করেন।
লকেট বলেন, ‘আমি ঘুরছি প্রচুর মানুষের আর্শীবাদও পাচ্ছি বিশেষ করে মহিলাদের। তারা রাস্তায় বেরিয়ে আসছেন সন্দেশখালীর ঘটনা তাদের নাড়িয়ে দিয়েছে। কোন উন্নয়ন হয়নি একমাত্র ভরসা নরেন্দ্র মোদি। দুর্নীতির ইস্যু পুরো বাংলাকে নাড়িয়ে দিয়েছে তাই মানুষ বিকল্প চাইছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতারা জেলে রয়েছে। বলাগড় দুর্নীতির হাবে পরিণত হয়েছে।’
তবে জনসংযোগে কম যাচ্ছেন না তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র জিউ মঠে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ রয়েছে। বৃন্দাবন জিউ এর রথ প্রায় তিনশ বছরের প্রাচীন। মঠে রাধাকৃষ্ণ,শ্রীরামের বিগ্রহ আছে। সারা বছর ভক্তদের সমাগম হয়। রথযাত্রা আর দোলের সময় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। সেই মঠে পুজো দেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা। দেশ কালী মন্দিরেও পুজো দেন। জনসংযোগ করেন গুপ্তিপাড়ায়। আজ গোটা দিন বলাগড় বিধানসভা এলাকাতেই প্রচার কর্মসূচী সারেন হুগলি লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী।