EVM নিয়ে নানা সময়ে নানা কথা বলা হয়। এমনকী ইভিএমে কারচুপি সম্ভব বলেও দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে সুপ্রিম কোর্ট ইভিএম সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে বড় আস্থার কথা জানিয়েছে। এনিয়ে একটা মামলায় বলা হয়েছিল প্রতিটি ইভিএমে যত ভোট পড়ছে তার সঙ্গে ভিভি প্যাটে প্রাপ্ত ভোট মিলিয়ে দেখতে হবে। তবে এনিয়ে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়েছেন, আমরা বিস্তারিতভাবে সমস্ত প্রটোকল, সমস্ত টেকনিকাল দিক মিলিয়ে দেখেছি। একটা সিস্টেমকে কিছু না জেনে সেটাকে ভেঙে দেওয়াটা ঠিক হবে না। সেই সঙ্গেই ব্যালটে ভোট করানোর ব্যাপারেও আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। এদিকে এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সব মিলিয়ে দুটি নির্দেশ দিয়েছে। একটি হল ভিভিপ্যাট ও ইভিএম সংক্রান্ত নির্দেশিকা। সিম্বল লোডিং ইউনিটকে অন্তত ৪৫দিন স্টোর করে রাখতে হবে। মেশিনে সিম্বল লোড করার পরে এই নির্দেশিকা মানতে হবে। বিশেষত ১ জুন যেদিন ভোট পর্ব মিটে যাবে তারপর থেকেই এই সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষিত করে রাখতে হবে। এমনকী এই সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। সেখানে প্রার্থীর সইও রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই সিল করা ইভিএমগুলি স্টোর রুমে রাখতে হবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে অন্তত ৪৫দিন ওই ইভিএমগুলিকে রাখতে হবে। সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে, ইভিএমের মাইক্রো কন্ট্রোলারকে পরীক্ষা করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের টিম দিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রার্থীদের অনুরোধ এলেই তা খতিয়ে দেখতে হবে। সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে যে এই যাচাইয়ের ব্য়াপারটির জন্য় যে খরচ করা হবে তা বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকেই। তবে ইভিএমে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সেই টাকা ফেরত দিতে হবে। সেই সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের যে ব্যবস্থা থাকে সেটা গণনা করার জন্য কোনও মেশিনের ব্যবস্থা করা যায় কি না সেটা দেখা যেতে পারে।