কঙ্গনা রানাওয়াত বিয়ে নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। আপ কি আদালতের সর্বশেষ পর্বে, অভিনেতা তথা বিজেপি সাংসদ তাঁর চারপাশের নেতিবাচক প্রচারের কীভাবে তাঁর বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সে সম্পর্কে কথা বলেছেন। পুলিশ তাঁকে তলব করেছিলেন সেই বিষয়টি নিয়ে রসিকতা করে তিনি জানান, তা জেনে তাঁর শ্বশুরবাড়ি সকলে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
বিয়ে নিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াতের দৃষ্টিভঙ্গি
শোতে একজন দর্শক যখন তাঁর বিয়ে সম্পর্কে জানাতে চান যে, তিনি রাজনীতিবিদ নাকি অভিনেতা কাকে বিয়ে করতে চান কিনা, তখন কঙ্গনা লজ্জা পেয়ে বলেন, 'এখন, আমি এ সম্পর্কে কী বলব? বিয়ে সম্পর্কে আমার মতামত খুব পরিষ্কার, আমি মনে করি প্রত্যেকেরই একজন সঙ্গী থাকা উচিত। আমি মনে করি মানুষের সন্তান জন্ম দেওয়াও উচিত, কিন্তু আমার ব্যাপারে এত কুৎসা করা হয়েছে যে আমি বিয়ে করতে পারছি না, আমার বিরুদ্ধে আদালতে এত মামলা করা রয়েছে তা বলার মতো নয়। হয়ত কারুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক একটু একটু করে তৈরি হচ্ছে, তখনই পুলিশ আমার বাড়িতে এসে হাজির হয় বা আমাকে তলব করে। এইসব দেখে আমার শ্বশুরবাড়ির লোক পালিয়ে যায়।' এরপর তিনি বলেন, 'আমি শুধু মজা করছি।'
কঙ্গনা রানাওয়াতের কাজের সম্পর্কে
কঙ্গনা তার পরবর্তী ছবি ‘ইমার্জেন্সি’র মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ছবিতে কঙ্গনা রানাওয়াতকে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে। তিনি ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তালপাড়ে, বিশাক নায়ার এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিক৷ ১৯৭৫ সালে যখন দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল সেই সময়ের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে ছবিটি।
আরও পড়ুন: অভিনয়ে ‘না’, আইআইএম আহমেদাবাদে ভর্তি হলেন নভ্যা নভেলি নন্দা, কী কোর্স করছেন অমিতাভের নাতনি?
প্রসঙ্গত, মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে কঙ্গনা কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ৭৪,৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তবে ভোটে জেতার পরই তাঁর সঙ্গে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত কাণ্ড। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের বিজেপির নবনির্বাচিত সাংসদ অভিনেতা কঙ্গনা রানাওয়াতকে প্রকাশ্যে চড় মারার ঘটনাকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল দেশ তথা স্যোশাল মিডিয়া। বলিউডের 'কুইন'কে সিআইএসএফ-এর এক মহিলা জওয়ান চড় মারেন। চড় মারার কারণ হিসেবে তিনি কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার ‘খলিস্তানি’ মন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন। এই ঘটনার পর গোটা দেশ কার্যত দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। মহিলা জওয়ানের সমর্থনে যেমন বহু মানুষকে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছিল, তেমনই নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলে অনেকেই তাঁর কাজের বিপক্ষে প্রতিবাদ করছেন।