'১১ বছরের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর যে কষ্ট আমি পেয়েছি, সেটা মৃত্যুর মতোই মনে হয়েছিল। লোকজন আপনাকে জিগ্গেস করবে আপনি ঠিক আছেন তো? তখন আপনাকে ওদের খুশি হওয়ার মতো করেই উত্তর দিতে হবে। তারপর আপনি নিজের জীবনের দুঃখ ভুলতে অ্যালকোহলের পিছনে লুকিয়ে পড়বেন। নিজেকে মুক্ত করতে গিয়ে আরও খারাপ পথে পা বাড়িয়েছিলাম।'
পূজা ভাট ও বিবাহবিচ্ছেদ
২০০৩-এ মণীষ মাখিজাকে বিয়ে করেছিলেন পূজা ভাট। ২০১৪ সালে তাঁদের সেই বিয়ে ভেঙে যায়। বিবাহ-বিচ্ছেদের সময়টাকে নিজের জীবনের অত্যন্ত খারাপ সময় বলে ব্যাখ্য করেছেন পূজা ভাট। সম্প্রতি, নিজের বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন পূজা। তবে বিচ্ছেদের জন্য কোনওভাবেই প্রাক্তন স্বামীকে দোষ দিতে নারাজ মহেশ ভাট কন্যা।
সম্প্রতি, Bigg Boss OTT-র আরও এক প্রতিযোগী জিয়া শঙ্করের সঙ্গে কথা বলতে শোনা গিয়েছে পূজা ভাটকে। জিয়াকে পূজা বলেন, ‘সত্যিই যদি তুমি আমাকে জিগ্গেস করো আমার জীবনের সবথেকে খারাপ সময় কোনটা ছিল, তাহলে বলব আমার ১১ বছরের বিয়ে ভেঙে দেওয়া, স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার সময় ভীষণই খারাপ সময় কাটিয়েছি। তবে ওটা আমার জীবনের সবথেকে খারাপ সময় ছিল। তবে ওই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্ত ছিল। আমি নিজেকে মিথ্যা বলতে পারিনি কারণ, সেসময় বিয়েটা আমি আর চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইনি।’
পূজার কথায়, ‘আমার মনে হয়েছিল, আমি আমার জীবনটা আমার মতো করে স্বচ্ছন্দ্যে বাঁচতে চাই। আমার ১০-১১ বছরের সম্পর্ক যেমন আছে, ওটাকে তেমন জায়গায় রেখে বের হয়ে আসতে চাই। আমার স্বামী খারাপ মানুষ ছিলেন না। আমাদের মধ্যে যা কিছু ছিল, সব ঠিকঠাকই ছিল। তারপর আমার মনে হয়েছিল নিজেকে হারিয়ে ফেলছি। আমার জীবনটা অন্যকারোর উন্নতির জন্য ছিল না।’