রবিবার ধর্না মিছিলে বসেছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। যদিও এই ধর্না ছিল ঘাস ফুল দলেরই। সেখানে নিজের পার্টির লোকেদের সঙ্গে বসে আরজি কর নির্যাতিতার বিচার চান তিনি। তবে সঙ্গে একহাত নেন বিক্ষোভরত ডাক্তারদের। তাঁদের বেতন-বোনাস তুলে রীতিমতো কটাক্ষ করেন। এমনকী, আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হওয়া তারকাদের ‘সরকারের দেওয়া পুরস্কার’ ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন।
ইতিমধ্যে কাঞ্চনকে কটাক্ষ করে পোস্ট করেছেন সুদীপ্তা। পুরনো বন্ধুকে ‘ত্যাগ’ করার কথা, ঘোষণা করেছেন প্রকাশ্যে। এবার লম্বা পোস্ট এল ঋদ্ধি সেনের থেকেও। অভিনেতাও তুলোধনা করলেন নিজের ‘ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র’কে। ঘুরিয়ে ‘অশিক্ষিত’ বলতেও ছাড়লেন না।
ঋদ্ধি লিখেছেন, ‘যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারকে প্রশ্ন করতে গেলে, সরকারি মাইনে ফেরত দিয়ে করতে হয়, তাহলে সেই একই নিয়মে কাঞ্চন মল্লিকের বাজে বকার জন্য বিধায়ক-সহ যে কোনো রাজনৈতিক পদ ফেরত দিয়ে অবিলম্বে স্কুলে ফেরত চলে যাওয়া উচিত। ভারতীয় সংবিধান না জেনে রাজনীতি করা তো দূরের কথা, ঠিক করে মোসাহেবিও করা যায় না। আপনাদের মতো কিছু লোকের ভোট চাওয়ার জন্য 'মানুষের পাশে থাকবো' বলা আর অঙ্ক টুকে পাশ করার চেষ্টা একই জিনিস। দুটোর পরিণতি একই, ইংরেজিতে বলে ‘fail’ আর বাংলায় ‘ভুল’।’
আরও পড়ুন: সিগারেটে সুখটান ধোনির বউ সাক্ষীর! এক নায়িকার পোস্ট থেকে সামনে এল ছবি, তুমুল ভাইরাল
‘রাজনীতি বড়দের কাজ, আপনি বরং স্কুলে শিশুদের কাছে ফিরে গিয়ে ভারতীয় সংবিধানের article 19(1)(a)টা পড়ে দেখুন। মানুষের পাশে থাকতে গেলে আগে মানুষের অধিকারটা জানতে হয়। ‘Article 19(1)(a) guarantees freedom of speech and expression to all citizens, this freedom includes the right to express dissenting opinions, criticize the government and engage in peaceful protests and demonstrations’। আপনি আসলে কোনোদিনই মানুষের পাশে ছিলেন না, আপনি টাকার পাশে ছিলেন।’, কাঞ্চনকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন ঋদ্ধি।
আরও পড়ুন: ‘এই নির্লজ্জ কমেডির আগে…’! আরজি কর নিয়ে কাঞ্চনকে আক্রমণ সুদীপ্তার, করলেন ‘ত্যাগ’
কদিন আগেও কাঞ্চন বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। যখন বিয়েবাড়ির বাইরে লেখা হয়েছিল, ‘drivers, media and bodyguards not allowed’। সেই প্রসঙ্গ টেনে নিজের বক্তব্য শেষ করলেন ঋদ্ধি। ‘তবে আপনার মন্তব্যে অবাক হলাম না, যিনি কয়েকমাস আগে তার বিয়েবাড়ির বাইরে লিখে রেখেছিলেন ‘drivers and bodyguards not allowed’ তার কাছে এই মন্তব্যই প্রত্যাশিত, আপনার মনুষত্বের সংবিধানটাই বিকৃত, দূষিত, পচা। তাই অবাক না হয়েই বলছি, প্রতিবাদ করার জন্য কেউ মাইনে বা বোনাস বা চাকরি ফেরত দেবে না, আপনি বরং কোনো মেডিকেল কলেজে আপনার শিরদাঁড়াটা ফেরত দিয়ে আসুন, ছাত্র আর শিক্ষকদের ক্লাসে ডেমন্সট্রেশনের কাজে লাগবে।’