বছর দুয়েক আগে আচমকাই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে সদ্য বিধায়ক পদে অসীন কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে বাংলা টেলিভিশনের খলনায়িকা শ্রীময়ী চট্টোরাজের সম্পর্কಌ। কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি গুরুত্বর অভিযোগ এনেছিলেন 𓃲অভিনেতার বিরুদ্ধে।
সেই বিয়ে এখন অতীত! ডিভোর্সের মামলা আদালতে বিচারাধীন। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে এখন আরও বেশি খোলামেলা কাঞ্চন-শ্রীময়ী। রাত পার্টিতে হোক বা রাস পূর্ণিমায়, দুর্গা পুজোয় হোক বা জগদ্ধাত্রী পুজোয়, সর্বদাই পাশাপাশি কাঞ্চন-শ্রীময়ী। সম্প্রতি এক ফটোশ্যুটে জুটির মাখামাখি দেখে থ নেটপাডဣ়া। অনেকেই তাঁদের ‘শোভন-বৈশাখী লাইট’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
ভাইরাল ফটোশ্যুট থেকে কাঞ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অকপট শ্রীময়ী। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, 'লোকে তো লোকের মতো করে জাজমেন্ট দিয়ে দেবে। আমাদেরকে নিয়ে চর্চা হয়। পঞ্চাশ জন গালিগালাজ করবে, তবে তারা কিন্তু বিষয়টা দেখবে তারপর গালি দেবে। পছন্দ নয় বলে ইগনোর করবে না কিন্তু। সেই মানুষগুলো আমাকে আর কাঞ্চনদাকে দেখে আড়চোখে বলবে- ওই দেখ কাঞ্চন🎶ের বান্ধবী যাচ্ছে। তারপর তারা এไসেই সেলফি তুলতে চাইবে। কাঞ্চনদা একা তুলতে চাইলে, বলবে ম্যাডাম আর আপনার সঙ্গে একসাথে তুলব।'
নেটপাড়ার উপর খানিক দায় চাপিয়ে শ্রীময়ী আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোগ করেন, ‘তোমরাই আমাদের চর্চায় নিয়ে আসছো, তোমরাই আবার খারাপ খারাপ কথা বলছো। আমরা আমাদের দিকে ঠিকই রয়েছি। তোমরা সম্পর্কের নাম দিয়ে দিচ্ছো। একটা মানুষ আমার থেকে বয়সে অনেকটা বড়। সে পুরুষ, আর আমি মহিলা। ღতার সঙ্গে ছবি দেওয়া বা তার সঙ্গে কাজℱ করা, খুব হাস্যকর লাগে….কিছুদিন আগে আমরা একটা সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলাম, কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ। তাতে লেখা হলে গেল, কাঞ্চন-শ্রীময়ী নতুন জীবনের সূচনা করলেন।’
কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর শুধুই বন্ধুত্বের সম্পর্ক জোর দিয়ে বলেন শ্রীময়ী। অভিনেত্রীর দাবি, 'আমি ছোটবেলা থেকে কাঞ্চনদার থেকে অভিনয় শিখছি। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার খুব কম বন্ধু, সম্পর্কের নানা রকমের নাম দিয়েছে। আমাদের সম্পর্💛কটা পিওর বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বয়সে বড় তাই দাদা বলতেই হবে। অনেক সম্পর্কের নাম হয় না, একটা গভীর বন্ধুত্ব থাকে'।
শ্রীময়ীর পালটা প্রশ্ন, ‘আমি কে? আমি তো বিশ্বসুন্দরী নই। তাহলে আমাকে নিয়ে কেন এত চর্চা? আমি তো কাঞ্চনদাকেও প্রশ্ন করি, কাঞ্চনদা তো তোমার আগে এত সম্পর্ক হয়েছে, দু-বার বিবাহিত জীবন কাটিয়েছো। কই তোমার আগের সম্পর্ক নিয়ে তো এত চর্চা হয়নি, এখনও দেখ🍌া যায় না।’
তৃতীয় ব্যক্তির জন্য সম্পর্ক ভাঙে না জোর দিয়ে বলেন শ্রীময়ী। তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে। অভিনয় করেন বলে, তাঁকে ‘সস্তার ভাবা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন শ্রীময়ী। কাঞ্চনের বিয়ে ভাঙা🐲র দায় তাঁর উপর চাপানোর জেরে শুরুর দিকে ভেঙে পড়েছিলেন শ্রীময়ী। বলেন, ‘খুব খারাপ লেগেছিল, একটা সময় মনে হয়েছিল আমার মনে হয় আমার আর বেঁচে থাকা উচিত নয়। এখন মনে হয়, যত তুমি তোমার দুর্বলতাকে শেয়ার করতে থাকবে কাটাছেঁড়া বেশি হবে।’ এই বিষয়টাকে এখন ‘স্পোর্টিংলি’ নিতে শিখে গিয়েছেন, জানান শ্🐟রীময়ী। ট্রোলারদের পাত্তা না দিতে কমেন্ট সেকশনের দিকে ফিরেও তাকান না তিনি।