আজকের ডেটিং বেশ জটিল। মেয়েদের সঙ্গে ঠিক কীভাবে কথা বললে, তাদের মন পাওয়া যাবে, এটাই ভাবতে ব্যস্ত ছেলেরা। কীভাবে তাদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করা যায়, কীভাবে ফ্রেন্ডজোন এড়ানো যায়, এটাই ভাবে তারা। এমন পরিস্থিতিতে, 'ডেটিং কোচ' একটি নতুন পেশা হয়ে উঠেছে , লাভ গুরু যাকে বলে। আজকাল এই গুরুরা আবার হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ফি নিয়ে অবিবাহিত পুরুষদের 'প্রেম শিক্ষা' দিচ্ছেন। অবিবাহিত পুরুষদের এটা শেখানো হচ্ছে যে কীভাবে আকর্ষণীয় মেয়েদের সহজে꧒ই প্রভাবিত করতে হয়।
আরও পড়ুন: (Icmic Cooker: অল্প খরচে ඣ৩-৪ রকম রান্না করে দিত ইকমিক কুকার! বাঙালির আবিষ্কার হারিয়ে গেলꦓ যেভাবে)
ডেটিং গেমে মেয়েরা এখন টার্গেট
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নতুন পেশায় উঠে এসেছে অনেক নাম। যেমন যদুবীর সিং মানহাসের মতো গুরুরা, এখন ছেলেদের অপরিচিত মেয়েদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা শিখিয়ে দিচ্ছেন। কোর্সে, বার,💛 ক্লাব এবং মলের মতো পাবলিক জায়গায় মেয়েদের সঙ্গে কথা বলার অভ্যাস তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি, যেমন বালিতে বিশেষ সেশন করিয়েছেন লাভ গুরু। সে স্থানে গিয়ে এই বিশেষ ট্রেনিংয়ের খরচ ছিল মাথাপিছু ৪ লক্ষ টাকা। ডেটিং ট্রেনিংয়ে 'ক্লোজিং' বা বন্ধ করা-এর মতো শব্দ খুব হাইলাইট করা হচ্ছে। এর অর্থ ট্রেনিং শেষে নম্বর পাওয়া, চুম্বন করা বা যৌন সম্পর্ক অবধি পৌঁছনোর দক্ষতা। এককথায়, এটা এক ধরনের খেলায় পরিণত হয়েছে, যেখানে মেয়েদের টার্গেট হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: (Health T🐼ips: রং সাদা, তবু এই খাবারগুলিকে মোটেই স্বাস্থ্যকর𒆙 মনে করেন না চিকিৎসকরা)
মেয়েদের সঙ্গে কথা বলা একটা শিল্প
আরও একজন ডেটিং কোচ প্রতীক জৈন, আবার মেয়েদের সঙ্গে কথা বলাটা শিল্প বলে মনে করেন। তিনি পুরুষ💟দের 'প্রকৃত পুরুষত্ব' গ্রহণ করার পরামর্শ দেন৷ এই ট্রেনারের মতোই, ফরিদাবাদের অরুণাভ গুপ্তের কোর্সও একই রকম। নিজের ছাত্রদের ফ্যাশন মেকওভার দিয়ে, প্রতিদিন নতুন মানুষের সঙ্গে কথা বলার মতো কাজ দেন এই ট্রেনার। অরুণাভের মতে, মেয়েরা আপনার সঙ্গে কথা বলতে বলতে যদি হাসে বা তাদের পা যদি আপনার দিকে থাকে, তাহলেই বুঝতে হবে সে বিশেষ আগ্রহী।
প্রসঙ্গত, ডেটিং কোর্স বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েদের কোনও বস্তু হ🐈িসাবে উপস্থাপন করে, যেটা অর্জন করতে হবে। কারণ, এই ধরনের কোর্সে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের উপর বেশিভাবে ফোকাস করার কথা বলা হয়েছে, যা নৈতিকভাবে ভুল। আবার পড়ুয়ারাও সুন্দর এবং আকর্ষণীয় মেয়েদের সঙ্গে থাকতে চা🐭য়। এই কোর্সের সবচেয়ে খারাপ দিক হল যে এটি মেয়েদের সম্মতি এবং তাদের আবেগকেও উপেক্ষা করে। আবার বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে আসল সমস্যাটি ভারতীয় পুরুষদের মধ্যেই। শৈশব থেকেই ভারতীয় ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব তৈরি হয়। তাই ভারতীয় পুরুষদের সামাজিক লালন-পালনের কারণেই এই অবস্থা।