শিশুর জন্মের পর মাকে নানারকম শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মাতৃত্বকালীন অবস্থায় এমনই দুটি সমস্যা হল ঘুমের সমস্যা ও ক্লান্তিভাব আসা। সমস্যা দুটি মূলত দেখা দেয় তৃতীয় ট্রাইমেস্টার থেকে। এই সময় ঘুমোতে চাইলেও ঘুম সহজে আসে না। বাচ্চার জন্মের পর ছ সপ্তাহ পর্যন্ত সম🍬স্যাটি গুরুতর থাকে।
এমনিতে ঘুমের সমস্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পরিনতবয়স্কদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায়। তবে মায়েদের ক্ষেত্রে সমস্যার প্রকৃতি একটু অন্যরকম। বাচ্চাকে বারবার খাওয়ান☂ো, বারবার ঘুম পাড়ানো, বাচ্চার ডায়পার পাল্টানো ইত্যাদি কারণে মায়ের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। প্রায়𒉰ই প্রয়োজন মাফিক ঘুম হয় না।
কিন্ডার উমেন’স হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কবিতা পূজর এইচটি লাইফস্টাইল বিভাগকে জানাচ্ছেন, এর পিছনের কারণগুলো। মূলত হরমোনের সমস্যা, লেবার ও পেরিনিয়াল♒ ব্যথার জন্য ঘুমের অসুবিধা দেখা দেয়। এছাড়া, আগে থেকে রয়েছে এমন সমস্যা যেমন অ্যানিমিয়া, হাইপোথাইরয়েডিজম, প্রসবের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ইত্যাদি কারণেও ইনসমনিয়া হতে পারে। মাতৃত্বকালীন অবসাদ, মুডের সমস্যা, খিদে পাওয়া ইত্যাদি এই সময় মায়ের মধ্যে দেখা যায়।
তাঁর কথায়, এই সময় ঠিকমত ব্যবস্থা না নিলে বড়সড় সমস্যাও তৈরি হতে পারে। যেমন বাচ্চা ও মায়♛ের মধ্যে বন্ডিং দুর্বল হতে পারে। কগনিটিভ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েকটি টোটকার কথা জানিয়েছেন কবিতা।
১. বাচ্চার ঘুমের সময় মেনে চলুন: বাচ্চা🅘 যখন ঘুমোবে, তখনই ঘুমিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। ফলে সে যখন জেগে থাকবে, ඣতখন আপনিও জেগে থাকতে পারবেন। এতে বাচ্চা ও মায়ের বন্ডিং ভালো হবে।
২.তাড়াতাড়ি ঘুমোনোর চেষ্টা করুন: দেরিতে ঘুমোনোর অভ্যাস থাকলে ✤তা এবার ছাড়ার সময় এসেছে। তাড়াতাড়ি ঘুমোলে ঘুমের জন্য বেশি সময় মিলবে।
৩. অন্য কাউকে কিছুক্ষণ দায়িত্ব দিন: আপনার ঘুমের সময় বাচ্চাকে দেখভালের দায়িত্ব আপনার সঙ্গী বা পরিবারের কাউকে দিন। ডায়পার পাল্টানো বা সংগ্রহ করে রাখা ব্রেস্ট মিল্ক🦄 খাওয়ানোর দায়িত্ব এই সময় তাদের নিতে বলুন।
৪. অল্পবিস্তর হাঁটাচলা: সারাদিন একভাবে না থেকে সামান্য হাঁটাচলা൲ও করতে পারেন। এতে ক্লান্তিভাব দূর হবে।
৫. ভালো খাওয়াদাওয়া: এই সময় ডা⛦য়েটে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার থাকা জরুরি। পাশাপাশি, এড়িয়ে চলুন অ্যালকোহল, ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় ও 🔥ধূমপান।
৬. ধ্যান করা: মাতৃত্বকালীন অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ধ্যান 𒀰ও শ্বাসের ব্যায়াম করা জরুরি।
৭. ঘুমের পদ্ধতি মেনে চলা: ঘুমের দুঘন্টা আগে খাওয়াদাওয়া করে নিন। প্রত🌸িদিনের মোট ঘুমের সময় ঠ🐼িক রাখার চেষ্টা করুন।