শান্তিপুরের রাসে ভিড় হয় অগণিত মানুষদের। তাদের জন্য়ই প্রতি বছর থাকা খাওয়া স্নানের বিশেষ ব্যবস্থা করেন স্থানীয় ‘বেকার সম্প্রদায়’। নামে বেকা🦹র সম্প্রদায় হলেও তারা সকলে বেকার নন। কেউ কেউ চাকরি করেন, কেউ আবার পার্ট টাইম অর্থাৎ হাফ বেকার সেই অর্থে। সকলে মিলে প্রথম যখন এই বিশেষ ব্যবস্থা শুরু করেন, সেবার মাত্র ১০০ জনের বন্দোবস্ত করতে পারেন। কিন্তু পরবর্তীকালে সংখ্যাটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। আজ তা এসে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজারে।
বেকার সম্প্রদায়ের ‘যজ্ঞ’
প্রসঙ্গত, রাসকে ঘিরে ভক্তদের জন্য় যখন এই পরিষেবা শুরু হয়, তখন উদ্যোক্তাদের সকলেই ছিলেন বেকার। তাই তাদের পরিস্থিতির নিরিখেই দলটির নামকরণ হয়েছিল ‘বেকার সম্প্রদায়’।ཧ আজ তাদের অনেকেই প্রতিষ্ঠিত কিন্তু দলের নাম পাল্টায়নি পুরনো স্মৃতিকে ধরে রাখতে। চলতি বছরে ৩০ জনের স্বেচ্ছাসেবী দল নিয়ে পাঁচ হাজারের মানুষের জন্য সবরকম আয়𒅌োজন করছেন তাঁরা।
কবে থেকে শুরু যাত্রা
দলের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০১৮ সালে তওাদের 🍃যাত্রা। ওই বছর রেল স্টেশন সংলগ্ন গোডাউন পাড়ায় পুজোর পরিকল্পনা করেন কয়েকজন যুবক। ঘটনাক্রমে তাদের প্রত্যেকেরই বাড়ি ছিল বাস রাস্তার উপরে। ফলে কত মানুষ কষ্ট করে রাস দেখতে আসেন, তা তাদের নজর এড়ায়নি। তখনই পুজোর পরিকল্পনা পাল্টে ফেলেন তাঁরা। যুবকরা মিলে ঠিক করেন দর্শনার্থীদের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সঞ্জয়, নিমাই, সুদীপ্ত, রাজা ও বাপ্পাসহ আরও কজন মিলে প্রথম বছর ১০০ জনকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি তাদের থাকা ও স্নানের ব্যবস্থাও করেন।
কীভাবে করা হয় আয়োজন?
দলের এক সদস্য জানাচ্ছেন, স্টেশনের কাছেই রয়েছে একটা বড় হাট। যার পাকা মেঝে ও উপরে টিনের চাল। সেখানেই স্নানঘর, শৌচালয় সব রয়েছে। রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ওই স্থান ব্য🍌বহার করার অনুমতি রয়েছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে পুরসভা থেকে। পাশাপাশি তারাই সাফাইয়ের দায়িত্ব নিয়েছে। ✃এছাড়াও, পুলিশের তরফে এই সময় নিরাপত্তার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে প্রতিবারের মতো। অন্যদিকে বেকার সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছাসেবীরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। রাস দর্শনার্থীদের খাবারের মেনুতে থাকে ডাল, ভাত, চিপস, আলু-পটলের তরকারি, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি।