করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে নাজেহাল ভারত। এই পরিস্থিতি করোনা সংক্রমণ নিয়ে নয়া তথ্য উঠে এল কেন্দ্রের গবেষণায়। করোনা যে বাতাসের ভাসমান সূক্ষ্ম কণার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সে🦂ই দাবি অনেক চিকিৎসকরাই করেছিলেন। সেই দাবি যে সত্যি, তা প্রমাণিত হল ভারতীয় বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। নয়া এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ১০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এদিন এই বিষয়ে কেন্দ্রের মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা বিজয় রাঘবন বলেন, বড় জলকণা বা ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস দুই মিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে অ্যারোসল বা বাতাসে থাকা সূক্ষ্ণ কণার মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ১০ মিটার পর্যন্ত ছড়াতে পারে। তাছাড়া অ্যারোসলের মাধ্যমে দীর্ঘক𒆙্ষণ ভেসে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। এই আবহে যদি কোনও বদ্ধ বা জনবহুল এলাকায় একজন মানুষের সঙ্গে আরও একজন মানুষের দূরত্ব যদি ৬ ফুটের কম থাকে, তাহলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেডে যায় বহু গুণ।
বিশেষজ্ঞদের মত, বড় ড্রপলেটের থেকে ছোট ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। কারণ বড় ড🎃্রপলেট সাধারণত মধ্যাকর্ষণের জেরে বেশিক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না।♌ এই কারণে হাঁচি বা কাশির বড় ড্রপলেট যে অনেক দূরে উড়ে গিয়ে সংক্রমণ ছড়াবে, এমনটা ভাবা ভুল।
এদিকে ৫ মাইক্রন বা তার থেকে কম ব্যসের ছোট কণাগুলোর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। হাওয়ার গতি, জলীয় 🐼বাষ্পের পরিমাণ, আর্দ্রতা সহ একাধিক বিষয়ের উপর নির্ভর করে বাতাসে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। হাঁচি বা কাশির থেকে গান বা চিৎকারের সময় যে ড্রপলেট বের হয়, তার থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।