অদম্য জেদ আর ইচ্ছা শক্তি থাকলে এই পৃথিবীতে হয়তো কিছুই অসাধ্য নয়। ২৮ বছর বয়সি অখিলা বিএস। বাড়ি থিরুবনন্তপুরম। ইউপিএসসিতে তার স্থান ৭৬০। কিন্তু তাঁর এই সাফল্য অতটা সহজ ছিল না। মাত্র ৫ বছর বয়সে তাঁর জীবনে নেমে এসেছিল ভয়াবহ বিপর্যয়। বাবার নাম কি বুহারি। তিনি ছিলেন স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ২০০০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছিলেন অখিলা।🃏 সেই সময় তাঁর ডান হাতটি কেটে বাদ যায়। কার্যত সেদিন অন্ধকার নেমে এসেছিল জীবনে।
এরপর দীর্ঘ লড়াই। জার্মানি থেকেও টিম এসেছিল এই দেশে। তাঁরা সব পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন সেখানে কৃত্রিম হাত বসানো সম্ভব নয়। এরপর শুরু হল নতুন করে লড়াই। বাঁ হাত দিয়ে লেখা অনুশীলন করলেন অখিলা। বার বার ভেঙে পড়েছেন। আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন নতুন ইচ্ছাশক্তি নিয়ে। জীবনটা আরও কঠ💯িন হয়ে গ♕িয়েছিল। সেই অখিলাই এবার সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করলেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমি অত্য়ন্ত কৃতজ্ঞ সকলের কাছে। একজন শিক্ষক আমাকে জেলাশাসকের কাজ সম্পর্কে বলতেন। তিনিই আমাকে ইউপিএসসি দেওয়ার জন্য় অনুপ্রেরণা দিতেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে গ্র্যাজুয়েশন দিয়েছিলাম। তারপর থেকেই ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। ২০২০-২০২১-২০২২ সালে প্রিলিতে পাস করেছিলাম। কিন্তু একমাত্র ২০২২ সালে আমি মেইন পরীক্ষায় পাস করলাম। এক শিক্ষক আমাকে বলতেন কীভাবে জেলাশাসক হল🍰ে মানুষের সেবা করা যায়। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই আমি প্রস্তুতি নিতে শুরু করি।
তিনি মাদ্রাজ আইআইটি থেকে এমএ করছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেশিক্ষণ সোজাভাবে বসে থাকতে পারি না। তিন থেকে চার ঘণ্টা বসে থেকে পরীক্ষা দেওয়াটাও আমার কাছে ছিল কষ্টের। প্রচন্ড যন্ত্রণা হত গোটা শরীরে। তবুও হাল ছাড়িনি। সব বাঁ হাত দিয়ে করতে হয়েছে। আমি পরিবারের কাছ থেকে যে সাপোর্ট পেয়েছি সেটা বলে বোঝাতে পারব না। একবছর তিনি বেঙ্গালুরুতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এর🌸পর থিরুবনন্তপুরমের ইনস্টিটিউটে চলে আসেন।