বাংলার বিপুল টাকা বকেয়া হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পড়ে আছে। যা দিচ্ছে না এই এনডিএ সরকার। নানাভাবে অর্থনৈতিক অবরোধ করার চেষ্টা করেছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়াই ক🌃রে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা–সহ নানা প্রকল্পের বকেয়া টাকা রাজ্যকে দেওয়া হয়নি বলে এবার সংসদে তুমুꦐল অভিযোগ তুলে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। এতদিন যা বাংলার মাটি থেকে বলা হচ্ছিল এবার তা নয়াদিল্লির সংসদ ভবনে আছড়ে পড়ল। আর এখানেই বাংলার বকেয়া আটকে রেখে নরেন্দ্র মোদীর সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে তোপ দাগেন বারাসতের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
সোমবার সংসদে সুর সপ্তমে তোলেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। তৃণমূল সাংসদ যে এতটা রেগে যাবেন তা আগে থেকে আঁচ করতে পারেনি সরকারপক্ষ। আর লোকসভায় যখন কাকলি ঘোষদস্তিদার সুর চড়িয়েছেন তখন রাজ্যসভায় ফেটে পড়েন সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি দীর্ঘদি🧸নের উচ্চ🦋কক্ষের সাংসদ। সুবক্তা হওয়ার জেরে বেশ সাড়া পড়ে যায় গোটা রাজ্যসভায়। বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির অনুমোদন দিয়েও আটকে দেওয়া এবং নারেগায় কাজ করার পরেও পারিশ্রমিক না দেওয়ার বিষয় নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হন ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেই টাকা রাজ্য সরকার নিজের তহবিল থেকে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই শুরু হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন, নিউটাউন জুড়ে শুধু ধুনোর গন্ধ! কেন?
লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরেন বারাসতের সাংসদ। কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘এটা শুধু ইকোনমিক ব্লকেড নয়। এটা বিট্রেয়ালও। বাংলার মানুষ বিজেপিকে ভোট দেয়নি বলেই কি এই বঞ্চনা? বাংলায় চলা সবার জন্য বিনামূল্যে খাদ্য, বাংলা শস্য বিমা যোজনা, মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মডেল অনুসরণ করা উচিত। কৃষকদের পাশে না দাঁড়িয়ে কেন ধনীদের ঋণ মকুব করা হচ্ছে? রাষ্ট্রপতির ভাষণে অশান্ত মণিপুর ইস্যু নিয়ে মুখে কুলুপ কেন? সেখানে যাননি কেন প্রধানমন্ত্রী?’ একের পর এক প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার।
আর রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়েন সরব হন এই বঞ্চনা নিয়ে। বাজেটের দিনই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আগের মতো এবারও বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অভিষেকের বেঁধে দেওয়া সুরেই সোচ্চার হন ডেরেক। কেন বাংলার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে? এই প্রশ্ন তোলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষের সুরে ডেরেক ও’ব্রায়েনের বক্তব্য, ‘রাষ্ট্রপতির ভাষণ আসলে কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি করা চিত্রনাট্য। সরকার যেটা লিখে দেয় সেটাই রাষ্ট্রপতি পড়ে যান।’ মাদার ইন্ডিয়া, অপুর সংসার, আখরি খত, গরম হাওয়া, সাꦏলাম বম্বে, লগানের মতো একাধিক ছবির নাম সামনে রেখে অভিনব আক্রমণ করেন ডেরেক। ডেরেকের বক্তব্য শেষে সোনিয়া গান্ধী তাঁকে ‘ভেরি গুড’ বলে বাহবা দেন।