জেলা আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের পেনশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্ℱরচূড়। সুপ্রিম কোর্টের মতে, জেলা আদালতের বিচারকরা বছরের পর বছর চাকরি করে অবসর নেওয়ার পর মাত্র সামান্য কিছু টাকা পেনশন পাচ্ছেন, যা যথেষ্ঠ নয়। এ নিয়ে বর্তমান পেনশন নীতিকে দায়ী করে কেন্দ্র সরকারকে এই সমস্যার ন্যায়সঙ্গত সমাধান খুঁজতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি। উল্লেখ্য, জেলা আদালতের বিচারকরা অবসর নেওয়ার পর ১৯ থেকে ২০ হাজার টাকা পেনশন পান। এই টাকায় তাঁরা কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করবেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়ে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলকে সহায়তার চেষ্টা করতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: 'সমালোচনা করাটা খুব সোজা…'বিচারপত⛎ি নিয়োগ সিস্টেম নিয়ে মুখ খুললেন প্র༺ধান বিচারপতি
জেলা আদা𝐆লতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের সংগঠনের একটি মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদী ওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। সেই সংক্রান্ত মামলায় কেন্দ্রকে ন্যায়সঙ্গত সমাধান খুঁজতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্র সরকারের পক্ষে মামলায় উপস্থিত ছিল🅷েন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা এর সঠিক সমাধান চাই। আপনারা জানেন যে জেলা আদালতের বিচারকরাই প্রকৃত শিকার।’
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, বিষয়টি তিনি অবশ্যই দেখবেন। প্রধান বিচারপতি আরও জানান, হাইকোর্টের বিচারপতিরাও বেতন না পেয়ে সুপ্রিম কোর্টে♛র দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, জেলা আদালত থেকে পদোন্নতির পরে এই বিচারপতিদের নতুন জিপিএফ অ্যাকাউন্ট দেওয়া হয়নি। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি জানান, জেলা আদালতের বিচারকরা ২০ থেকে ৩০ বছর চাকরি করার পরে অবসর নিয়ে মাত্র ১৯ থেকে ২০ হাজার টাকা পেনশন পাচ্ছেন। এই টাকা অর্থ সত্যিই জীবিকা নির্বাহের জন্য যথেষ্ট নয়। এই মামলায় এর আগ🔥ে সুপ্রিম কোর্ট দ্বিতীয় জাতীয় বিচার বিভাগীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে বিচারকদের বেতন এবং চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কে নির্দেশ জারি করেছিল। তাছাড়া রাজ্যগুলিকে বকেয়া পরিশোধ করার পাশাপাশি এবং হাইকোর্টগুলিকে যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে কমিটি গঠন করতে বলেছিল। উল্লেখ্য, কমিশনের সুপারিশে বেতন কাঠামো, পেনশন এবং পারিবারিক পেনশন এবং বিভিন্ন ধরনের ভাতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ মার্চ।