কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। তার মধ্যেই ট্রেনে আবারও বিপত্তি। মাঝ রাস্তায় খুলে গেল চলন্ত ট্রেনের দুটি বগির মাঝের কাপলিং। রবিবার ভোর🌱ে ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের বিজনোরের চক্রজ মাল এলাকার কাছে। ধানবাদগামী গঙ্গা সুতলেজ এক্সপ্রেসের ১০টি বগি এরফলে ইঞ্জিনের সঙ্গে আলাদা হয়ে যায়। যদিও এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সমস্ত যাত্রীই সুস্থ আছেন বলে রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু, এরফলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই আশঙ্কা যাত্রীদের। এই ঘটনার জন্য রেলের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: নাশকতার ছক? লাইনে বোল্ডারের ধাক্কায় লাইনচ্যুত এꦯক্সপ্রেস ট্রেনের ২০টি কামরা
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভোর ৪ টের দিকে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধরম সিং মার্চাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ধানবাদগামী ওই এক্সপ্রেস ট্রেনের কিছু বগি ইঞ্জিন এবং অন্যান্য বগি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হলেও তাদের দাবি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই বিপত্তি। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুটি স্লিপার কোচের মধ্যেকার কাপলিং খুলে যাওয়ার ফলে ১০ টি বগি ইঞ্জিন থেকে আলাদা হয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে 🌼কিছুটা দূরে গিয়ে ট্রেন থামিয়ে দেন লোকো পাইলট। এরফলে ওই লাইনে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। আরও জানা গিয়েছে, এদিন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নিয়োগের পরীক্ষা রয়েছে। সেই পরীক্ষা দিতে ২০০ জনেরও বেশি প্রার্থী ট্রেনে চড়েছিলেন। স্থানীয় পুলিশ এবং রেলওয়ে প্রশাসন তাদের জন্য তিনটি বাসের ব্যবস্থা করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেলের আধিকারিক ইঞ্জিনিয়াররা। তারা বিচ্ছিন্ন বগিগুলিকে পুনরায় সংযুক্ত করে। পরে ট্রেনটি ধানবাদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। অন্যদিকে, সোনভদ্র জেলার শক্তিনগর এলাকায় আরও একটি রেল দুর্ঘটনা ঘটে। একটি পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ করা একটি রেল লাইনের উপর একটি মালগাড়ির ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। সকাল সাড়ে ১১♍টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, খাদিয়ার নর্দান কোলফিল্ড লিমিটেড (এনসিএল) থেকে আনপাড়া পাওয়ার প্ল্যান্টে কয়লা নিয়ে যাওয়ার সময় সেটি লাইনচ্যুত হয়। রেলের আধিকারিকরা স্পষ্ট করেছেন, বগি এবং মালগাড়ি সবই পাওয়ার প্ল্যান্টের মালিকানাধীন। এই পাওয়ার প্ল্যান্টের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এসপি যাদব জানিয়েছেন, রেল লাইনের মেরামত সম্পূর্ণ হতে প্রায় এক দিন সময় লাগবে।