আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা ছত্তিশগড়ের জশপুর। সেখানে স্কুল চালাকীলন শিক্ষকদের মদ্যপানের পর পর ঘটনায় কার্যত জেরবার শিক্ষা দফতর। শেষমেশ ছত্তিশগড়ের শিক্ষা দফতর একটি নির্দেশিকায় সাফ জানিয়েছে, স্কুল চলাকালীন কর্মরত অবস্থায় কোনও শিক্ষক মদ্যপান করতে পারবেন না। এই বিষয়ে শিক্ষকদের স্ব-ঘোষণা শংসাপত্র জমা দিতেও বলা হয়েছে।
ছত্তিশগড়ের জশপুরের এডুকেশন অফিসার এই মর্মে একটি নোটিস জারি করেছে। এছাড়াও বিডিওকে নির্দেশ করা হয়েছে, যে এই নির্দেশিকা যে পালিত হচ্ছে, তা যেন নজরে রাখা হয়। নভেম্বর মাসের ২৪ তারিখের জন্য এই মর্মে শিক্ষকদের সরকারি কর্মীদের স্ব-ঘোষণা শংসাপত্র দিতে হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘ প্রায়শই দেখা যায় যে সরকারি চাকরিজীবীরা কর্তব্যরত অবস্থায় এবং স্কুল ও অফিসে যাওয়ার সময় মদ্যপান করেন যা কেবল কাজের ক্ষেত্রেই নয়, কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকেও প্রভাবিত করছে।’ এরপরই নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, ‘মদ্যপ শিক্ষকেরা স্কুলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এমন বহু ঘটনার উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে যেখানে এই জেলায় মদ্যপ অবস্থায় স্কুল ও কলেজে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। ’ শিক্ষা দফতর জানাচ্ছে, তাদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩০ হাজার কর্মী কর্মরত রয়েছেন এই জেলার শিক্ষা দফতরের আওতায়। নির্দেশিকার ডিইও জানিয়েছেন, ১৯৬৫ সালের ছত্তিশগড় সিভিল সার্ভিসেস কনডাক্ট আইন অনুযায়ী কর্মরত অবস্থায় মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
জানা গিয়েছে, গত মাসে স্কুলে মদ্যপ অবস্থায় শিক্ষকদের প্রবেশের ঘটনার ৫টি কেস উঠে এসেছে ছত্তিশগড়ের জশপুর জেলায়। এই নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছে। এই ৫ টি ঘটনায় ২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দেখা দিয়েছে, বহু মহিলা কর্মী মদ্যপ অবস্থায় স্কুল ও অফিসে যাচ্ছেন। শিক্ষদফতর এই ঘটনাকে বেশ ‘উদ্বেগের বিষয়’ বলে বর্ণনা করেছে।