পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জঙ্গিঘাঁটি মধ্যরাতের অভিযানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য সামনে আসতেই দেশজুড়ে উল্লাসে মেতে উঠেছেন নাগরিকরা। কার্যত উৎসবের আবহ। জাতীয় পতাকা উড়িয়ে এই সাফল্যকে উদযাপন করেছেন স্কুলের পড়ুয়ারা শুরু করে বহু নাগরিক। সকলের গলায় জয় হিন্দ আর ভারতীয় সেনার প্রশংসা। সেই আবহে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য এবং ভারতীয় সেনার সম্মানে বড় উদ্যোগ নিল কর্ণাটক সরকার। রাজ্যের সমস্ত মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করার নির্দেশ দিল হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য দান বিভাগ। আজ বুধবার এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর উত্তেজনা তুঙ্গে! দেশের স্বার্থে বড় পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর
এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, বিভাগের অধীনে সমস্ত মন্দিরকে ভারতীয় সেনা বাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ পুজোর পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে কমিশনারের কার্যালয় থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতীয় সেনা বাহিনীর অভিযানটি গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিতে চালানো হয়েছিল।
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী রামালিঙ্গ রেড্ডির নির্দেশে বিভাগের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় সেনার অভিযানের সাফল্যের জন্য পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী রামালিঙ্গ রেড্ডি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মন্দিরগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নামে পুজো পরিচালনা করতে হবে। সেনার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করতে এবং সশস্ত্র বাহিনীর অব্যাহত শক্তি ও সাফল্যের জন্য ঐশ্বরিক আশীর্বাদ কামনা করতে বলা হয়েছে। আচারগুলি যাতে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয় সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রত্যাঘাতের পরেই বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, পহেলগাঁওয়ে হামলার পর ১৫ দিন ধরে পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের পদক্ষেপ করেনি। তাই পাক জঙ্গিঘাঁটিতে নিয়ন্ত্রিত হামলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জঙ্গিদের জবাব দিতে ভারত নিজের শক্তি প্রয়োগ করেছে।