১৯২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস থেকে ছুটেছিল প্রথম বিদ্যুৎচালিত ট্রেন। সেই ট্রেনটি গিয়েছিল কুরলা পর্যন্ত। সেই সময় কুরলার পুরনো কারশেড এই যাত্রার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এবার সেই কারশেডেই শুরু হচ্ছে ভারতীয় রেলের আরও এক উদ্ভাবনী পরিবর্তনের যাত্রা।
Ad
১৯২৫ সালে এখানেই দেশের প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন চলেছিল, এখন সেখানে চলছে ‘VR বিপ্লব’
১৯২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস থেকে ছুটেছিল প্রথম বিদ্যুৎচালিত ট্রেন। সেই ট্রেনটি গিয়েছিল কুরলা পর্যন্ত। সেই সময় কুরলার পুরনো কারশেড এই যাত্রার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এবার সেই কারশেডেই শুরু হচ্ছে ভারতীয় রেলের আরও এক উদ্ভাবনী পরিবর্তনের যাত্রা। মুম্বইয়ের রেলকর্মীদের লোকাল রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়ালেটির (ভিআর) মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এই কারশেডে। এই প্রথম ভারতীয় রেলের কোনও শাখায় কর্মীদের জন্যে এমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: DA নিয়ে সুখবর দিয়েছিলেন CM, তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে বেতনই ঢুকছে না)
১৯২৫ সালে নির্মিত কুরলা কারশেডটি কুরলা এবং বিদ্যাবিহারের মধ্যে অবস্থিত। এই কারশেডে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ রেলকর্মী কাজ করেন লোকাল ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে। তিন শিফটে কাজ চলে এখানে। রোজ ৭০ থেকে ৭৫টি লোকাল ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয় এখানে। এই কারশেডের আয়তন বৃদ্ধির জন্যে ইতিমধ্যেই অনুমোদন এসেছে। এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক রেকের ওপর একই সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা সম্ভব হবে এখানে। (আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু মাধ্যমিক, চলবে স্পেশাল বাস, জেনে রাখুন জরুরি হেল্পলাইন নম্বর)
এদিকে এই রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে ভিআর ট্রেনিং ব্যবস্থা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নিয়ে আসে রেল। কুরলার রেলশেডেল ল্যাবে এই ভিআর ট্রেনিং ব্যবস্থাটিকে ইনস্টল করা হয়েছে। এই গোটা সিস্টেমে একটি বড় স্ক্রিন আছে, একটি হেডসেট আছে, একটি হাতের কন্ট্রোলার আছে, গ্লাভস আছে এবং পারফরনালিয়া সহ অন্যান্য জিনিসপত্র রয়েছে। বর্তমানে রেলওয়ের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা লোকাল ট্রেনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে সিস্টেমটি কনফিগার করছেন। বগি, চাকা এবং স্প্রিং সম্পর্কিত তথ্য সিস্টেমে সরবরাহ করা হয়েছে, এবং আসন, দরজা, জানালা, লাইট, ফ্যান, ছাদ এবং প্যান্টোগ্রাফ সম্পর্কে বিশদ বিবরণ যথাসময়ে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা। ল্যাবরেটরির এক আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, 'আমরা ভিআর-ভিত্তিক মডিউল চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছি। লোকাল ট্রেনের ক্ষুদ্রতম যন্ত্রাংশ থেকে সবচেয়ে বড় যন্ত্রপাতি মেরামত করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এতে।' (আরও পড়ুন: এই ধরনের জমি বিক্রিতে পাওয়া যায় কর ছাড়, তবে রয়েছে কিছু 'শর্ত', জানুন বিশদ)
এই বিষয়ে সেন্ট্রাল রেলের এক আধিকারিক বলেন, 'গ্রাফিক ইন্টারফেসের পাশাপাশি প্রশিক্ষণের আরও যে দিকগুলি আমরা এতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, তা এই ভিআর সিস্টেমে যুক্ত করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।' ওই আধিকারিক বলেন, 'আমরা আশা করছি ১০-১৫ দিনের মধ্যে প্রশিক্ষণ মডিউলটি প্রস্তুত হয়ে যাবে। মডিউলটি লোকাল ট্রেন কোচের প্রতিটি উপাদান মেরামত সম্পর্কে বিশদ তথ্য সরবরাহ করবে। এর ফলে আমাদের কর্মীদের কোচগুলি মেরামতের কাজ সহজ হবে।'