বিহারে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে অস্বস্তি বাড়ল বিহারের প্রাক্তন মুখ🅠্যমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের। রেলে চাকরির বিনিময়ে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে লালুর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্🦩ত রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে চাকরির নামে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই দুর্নীতিতেই মামলা করার অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে এই অনুমোদন ভোটমুখী বিহারে আরজেডির কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও বিষয়টিতে ততটা গুরুত্ব দিতে রাজি নয় আরজেডি।
আরও পড়ুন: জমির বদলে চাকরি দুর্নীতি মামলা, লালুকে জেরা ইডি-র
সূত্রের খবর, রেলে চাকরির বিনিময়ে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৭(১) ধারার অধীনে (বিএনএসএস ২০২৩-এর ধারা ২১৮) রাষ্ট্রপতি প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছেন🏅। এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই সিবিআইয়ের দায়ের করা একটি এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি লালুপ্রসাদ, তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং সহযোগীদের পিএমএলএ আইনের অধীনে মামলা দায়ের করে।
গত বছরের অগস্টে ইডি দিল্লির একটি বিশেষ আদালতে একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করে। তা🌠তে লালুর পাশাপাশি নাম রয়েছে তাঁর বিধায়ক পুত্র এবং প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী প্রসাদের। সিবিআইয়ের এফআইআর অনুযায়ী, ২০০৪-২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলের গ্রুপ ডি’তে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে। এফআইআর অনুযায়ী, প্রার্থীদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের রেলে চাকরির বিনিময়ে ঘুষ হিসেবে জমি লিখিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। সিবিআই এই মামলায় তিনটি চার্জশিটও দাখিল করেছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় লালু প্রসাদ, তাঁর স্ত্রী এবং তেজস্বী যাদবকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। লালুর কন্যা মিসা ভারতীকে গত বছরের মার্চ মাসে ইডি পিএমএলএয়ের অধীনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ আরজেডি নেতা তথা রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় যাদব। ꧟তিনি বলেছেন, এটি একটি প্রক্রিয়াগত বিষয়। সিবিআই ইতিমধ্যেই এই মামলায় রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছে। মꦇামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইডি রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদন চেয়েছিল। সেই কারণেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী তা অনুমোদন করেছেন রাষ্ট্রপতি।