কখনও স্নায়ুযুদ্ধ, কখনও গোলাগুলি প্রাণঘাতি লড়াই, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে নজর বিশ্ববাসী। এই যুদ্ধ পরিস্থিতির ফলে পেট্রোলিয়াম 🍎থেকে নানান খাদ্যদ্রব্যের দামও প্রভাবিত হয়েছে। এবার আরও বড় সংকটের সম্মুখীন গোটা বিশ্ব। আলোচনার কেন্দ্রে শস্য রফতানি চুক্তি।
কৃষ্ণসাগরীয় শস্যচুক্তি থেকে রাশিয়া বেরিয়ে যাওয়ায় বিপদের মুখোমুখি ♌গোটা দুনিয়ার মানুষ, এবিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ইউক্রেনের সঙ্গে লিখিত শস্যচুক্তির মেয়াদ আর না বাড়ানোয় ক্ষতির মুখে পড়বে বিশ্বজোড়া সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের গলাতেও শোনা গেছে হতাশার সুর।
শস্য রফতানি চুক্তি থেকে রাশিয়ার বেরিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জাতিসংঘের সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ প্রকাশ করে গুতেরেস। তিনি বলেন, বিশ্ব নানান প্রান্তে কোটি কোটি মানুষ খিদের জ্বালায় ধুঁকছে, প্রতিদিন জীবনযাত্রার খরচ চালাতে হি꧋মশিম খাচ্ছে বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে শস্য চুক্তি নিয়ে মস্কোর সিদ্ধান্তের ফলে প্রবল সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ।
গুতেরেস এ✅ই প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, মস্কোর পদক্ষেপ বিশ্বের অভাবী ও দরিদ্র জনসাধারণকে বিপদের মুখে ঠেলে দিল। জাতিসংঘ আশা করেছিল, নির্বিঘ্নেই খাদ্যশস্য রফতানির জন্য শস্য চুক্তিতে সই করবে মস্কো। সেই কಌারণেই শস্যচুক্তিটি নবীকরণের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনকে চিঠি লিখেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। কিন্তু, মস্কোর পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক বার্তা মেলেনি।
মস্কো চুক্তি থেকে সরে আসায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। খাদ্যশস্য রফতানির এই চুক্তি প্রথম স্বাক্ষর হয় গতবছরের জুলাই মাসে। এর ফলে একটি নিরাপদ সামুদ্রিক করিডোর গড়ে তোলা হয়। এই করিডোর দিয়ে ইউক্রেনের বন্ౠদর থেকে দেশটির খাদ্যশস্য বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়। যা বিশ্বের খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় ভূমিকা রাখে। এবিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার থেকে কৃষ্ণ সাগরীয় শস্য চুক্তি আর বৈধ নয়। চুক্তি স্থগিতের কারণে গতকাল আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম টনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ ডলার বেড়েছে।
রাশিয়া বারবার এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল।💫 অবশেষে এই হুমকিই বাস্তবায়িত হল। করিডোর বন্ধের ফলে চীন, স্পেন, মিশরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত ﷺহবে।