মহম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবার এবং প্রাক্তন আওয়ামি লিগ নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এর অধীনে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনার মেয়ে তথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে থাকা সাইমা ওয়াজেদ পুতুল। এহেন পুতুল নাকি কানাডার নাগরিক। তবে বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয় দিয়ে নারি তিনি হু-এর পদে বসেছেন। এই আবহে সেই পদ থেকে সাইমার অপসারণ চেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ফের চিঠি দিল বাংলাদেশ সরকার। (আরও পড়ুন: সামরিক কর্তাদের সফরের পর এবার পাকিস্তানের পথে বাংলাদেশি নৌবাহিনীর জাহাজ)
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধে উদ্বেগ, চিনে গিয়ে বাংলাদেশি উপদেষ্টা বলেন…
এর আগে বাংলাদেশে পূর্বাচলে জমি বরাদ্দে কারচুপির অভিযোগে মামলা হয়েছে পুতুলের নামে। এই মামলায় শেখ হাসিনা সহ আরও ১৫ জনও অভিযুক্ত। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন এই মামলা দায়ের করেছে। পুতুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মায়ের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে জমি বরাদ্দ পান পুতুল। দাবি করা হয়েছে, পূর্বাচলে মোট ৬০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনরা। (আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির গুরুদ্বারগুলিতে মার্কিনি অভিযান, কীসের খোঁজ চলছে?)
আরও পড়ুন: আগুন! আতঙ্কিত যাত্রীরা ছুটে নামলেন ট্রেন থেকে, ব্যাহত লোকাল পরিষেবা
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্বে আছেন পুতুল। এই পদে ভোটাভুটির সময় হাসিনা কন্যার পক্ষেই ভোট দিয়েছিল ভারত। এদিকে এই পদে থাকার সুবাদে দিল্লিতে বসবাস করেন পুতুল। ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি দিল্লিতে আছেন এই পদে। আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকবেন। তবে হাসিনার পতনে ইউনুসের সরকার গঠন হওয়ার পরে ঢাকা জানিয়ে দেয়, এবার থেকে আর আঞ্চলিক পরিচালকের মাধ্যমে নয়, যেকোনও বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে চায় তারা। এই মর্মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। (আরও পড়ুন: OpenAI-এর পর্দা ফাঁস করা বালাজির মৃত্যু ঘিরে ঘনীভূত রহস্য, সামনে এল ঘরের ছবি)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্ক জুজুতে মথা নত, 'সব শর্ত মেনে' অবৈধ অভিবাসীদের ফেরাল কলম্বিয়া
এদিকে বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে ক'দিন আগেই জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। আবার আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ান হয়েছে। এদিকে এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে 'রাজনৈতিক আশ্রয়' দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধ ভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ১০০ ঘণ্টার ভোগান্তির পর বালি ব্রিজে চালু ট্রেন-যান চলাচল, স্বস্তিতে অফিসযাত্রীরা)
আরও পড়ুন: 'বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ'! পার্টনারের ২ সন্তানকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিলেন বৃদ্ধ
অপরদিকে সম্প্রতি গুম-খুনের মামলায় মুজিবকন্যার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরই মধ্যে আবার জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেছিলেন, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে না পাঠায়, তাহলে অনুমতি সাপেক্ষে ভারতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতেও রাজি কমিশন। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র এক 'নোট ভার্বাল' দিয়ে দিল্লি কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছিল ঢাকা। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সব আনুষ্ঠানিকতা নাকি সম্পন্ন করেনি বাংলাদেশ সরকার।