রাজ্যে এখন বিধিনিষেধ চলছে। করোনাভাইরাস রাজ্যজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে। তবে মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে বিশেষজ্ঞদের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৩৭। এই পরিস্থিতিতে একটি পরিসংখ্যান বলছে, দৈনিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে শীর্ষে এম আর বাঙুর হ💃াসপাতাল। এমনকী রাজ্যের এই প্রথম কোভিড হাসপাতালে গত ৬ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে হাসপাতালের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বিষয়টি। কেন বেড়েছে মৃত্যু হার? এই প্রশ্নই করা হয়েছে স্বাস্থ্য💦 ভবনের পক্ষ থেকে। এমআর বাঙুর হাসপাꦕতাল স্বাস্থ্য ভবনকে জানিয়েছে, হাসপাতালে ৭০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। সেখানে যে কজন রোগী রয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের অবস্থা সঙ্কটজনক। এখানে প্রচুর রোগী স্থানান্তরিত হয়। এদের মধ্যে অনেকেরই বয়স বেশি। চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি তাঁদের।
কেন ৬ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু? এই বিষয়ে এম আর বাঙুর হাসপাতালের সুপার শিশির নস্কর জানান,𝓀 এখানে অধিকাংশই আইসিইউর রোগী। অন্যান্য হাসপাতাল থে✨কে স্থানান্তরিত হয়ে বাঙুরে এসেছিলেন। কো–মর্বিডিটিও আছে একাধিক রোগীর। এমন রোগীও আছেন যাঁদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা দেরীতে করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বেসরকারি হাসপাতালেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একাধিক রোগী মারা গিয়েছেন। মেডিকা হাসপাতালে ৬ দিনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাগর দত্ত হাসপাতালে সেই সংখ্𒈔যাটা ১২। আরজিকর হাসপাতালে ১১ জন মারা গিয়েছেন করোনাভাইরাসে। সিএনসিআই–রাজারহাটেও মৃতের সংখ্যা ১১। অ্যাপেলোতে ৬ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।