মৌলিক পাঠক
সুরাটের বস্ত্র কারখানায় মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট।🍷 প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ উৎপাদন মার খেয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কার্যত টিকে থাকার জন্য একাধিক শিল্প কারখানা তাদের শ্রম দিবস কমিয়ে দিতে শুরু করেছে। মূলত অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য়েও যাতে কারখানাকে চালু রাখা যায় সেকারণেই এই কৌশল নিয়েছে তারা।
এদিকে সুরাট বস্ত্র শিল্💫পের জন্য বরাবর বিখ্য়াত। সিল্ক, কটন, সিন্থেটিক টেক্সটাইল তৈরি হয় এখানে। লাখ লাখ ভিন রাজ্য়ের শ্রমিক কাজ করেন এখানে।꧃ এদিকে যেভাবে এই শিল্পে আর্থিক সংকট তাতে অত্য়ন্ত অনিশ্চয়তার মধ্য়ে পড়ে গিয়েছেন শ্রমিকরা।
তামিলনাড়ুর 𒀰তিরাপুরের পরেই আমেদাবাদ হল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বস্ত্র কারখানার পীঠস্থান।
হিমানি ফ্যাশন প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি কৈলাশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে বস্ত্রের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে আম🎃াদের কোম্পানিতে বলে দেওয়া হয়েছে সপ্তাহে পাঁচদিন করে শ্রমিকদের কাজ দেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের পর থেকেই দেশে বস্ত্রের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছিল। তার জেরে সুরাট কিছুটা সুখের মুখ দেখে। কিন্তু তারপর থেকেই চাহিদা ক্রমশ কমছে। মূলত এখানে শাড়ি তৈরি হয়। সেই শাড়ির চাহিদা ক্রমশ কমছে। তাছাড়া মুম্বই💞, ইন্দোর, জয়পুর, দিল্লির সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে। আগরওয়ালের ওই কোম্পানিতে ২০০০ জন কাজ করেন। তাঁর টার্ন আউট প্রায় ২৫০ কোটি।
এদিকে বড় কারখানার গুলির যখন এই অবস্থা তখন ছোট একাধিক কারখানা বন্ধের মুখে। মাথায় আকাশ ভে𓄧ঙে পড়ছে শ্রমিকদের।
ফেডারেশন অফ গুজরাট উইভার্স অ্য়াসেসিয়েশনের সভাপতি অশোক জিরাওয়ালা বলেন, কয়েক বছর আগেও রোজ ꧋৪.৫ কোটি মিটার চাহিদা ছিল। এখন সেটা হয়ে গিয়েছে ২.৫ কোটি মিটার। এর জেরে বিক্রি না হওয়ার প্রচুর কাপড় থেকে যাচ্ছে। সেকারণে শ্রম দিবস কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে অনেকে আবার প্রযুক্তিগত উন্নতির জন্য আধুনিকীকরণ করেছিলেন। সেসব একেবারে জলে যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে মারাত্মক সংকটের মুখে গুজরাটের বস্ত্রশিল্প। তবে শিল্পোদ্যোগীদের মতে গুজরা🔯ট সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার এখানে বিনিয়োগ টানার জন্য় নানা চেষ্টা করেছেন। টেক্সটাইল পার্কও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তবুও দুশ্চিন্তা কাটছে না।