নয়াদিল্লিতে আরএসএসের নবনির্মিত কেশব কুঞ্জ ভবনের প্রবেশোৎসব অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বার্তা দিয়েছেন, সংগঠনের কাজের মধ্য দিয়েই ভবনের গরিমা বজায় রাখতে হবে। এর পাশাপাশি সঙ্ঘের সদস্যদের শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সঙ্ঘের সদস্যদের উদ্দেশ্যে আরও গুরুত্বপূর൩্ণ বার্তা দেন মোহন ভাগবত।
আরও পড়ুন: 'মন চাইলে সংঘের ভেতরে আসুন, না𒉰 চাইলে…' বাংলায় দাঁড়িয়ে বড় আহ্বান RSS প্রধানের
বুধবার প্রবেশোৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভাগবত বলেন, ‘সংগঠনের কাজ জাতির প🌳্রতি অঙ্গীকারের মধ্যে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমাদের কাজ অবশ্যই এই নতুন ভবনের মহিমা বজায় রাখবে।’ সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ভাগবত দেশজুড়ে সঙ্ঘের কার্যক্রমের সম্প্রসারণের কথা তুলে ধরেন। তিনি, প্রত্যেক স্বয়ংসেবকের শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন, সংগঠনটি পরিস্থিতিতে পরিবর্তনের সাক্ষী হলেও, এর মূল দিকটি অটল থাকা উচিত। ভাগবত, সদস্যদের দায়িত্ব অধ্যবসায়ের সঙ্গে পালন করার আহ্ব✃ান জানান।

নয়া ভবন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কেশব স্মারক সমিতির নবনির্মিত ভবনটি নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত। তবে এই জাঁকজমকের সঙ্গে দায়িত্বও আসে। এর মর্যাদা ধরে রাখার জন্য আমাদের সেই🌜 অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’ অনুষ্ঠানে শ্রী রাম জন্মভূমি ন্যাসের কোষ𒐪াধ্যক্ষ গোবিন্দদেব গিরি মহারাজও উপস্থিত ছিলেন। তিনি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের নির্ভীক যোদ্ধাদের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। জোর দিয়ে বলেন, যে সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকদেরও একই রকম অটল নিষ্ঠার পরিচয় দেওয়া উচিত। দিল্লির উদাসীন আশ্রমের রাঘবানন্দ মহারাজও সমাবেশে বক্তৃতা রাখেন। কেশব স্মারক সমিতির সভাপতি অলোক কুমার কেশব কুঞ্জের ঐতিহাসিক যাত্রার বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তিনি এর সম্প্রসারণের একাধিক পর্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
উল্লেখ্য, নবনির্মিত এই ভবনে তিনটি টাওয়ার রয়েছে- সাধনা, প্রেরণা এবং অর্চনা। এতে অশোক সিংঘল অডিটোরিয়াম, কেশব লাইব্রেরি, একটি ওপিডি ক্লিনিক, সুরুচি প্রকাশন এবং একটি হনুমান মন্দিরের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ভবনটিতে ১৫০ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ১৪০ কিলোলিটার ক্ষমতার একটি পয়ঃনিষ্কাশন কেন্দ্রও রয়েছে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, 🌌স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, আরএসএস সহ-সরকার্যবহ কৃষ্ণ গোপাল এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।