সদ্য লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছে। আর দেশের সরকার গঠন নিয়ে এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে ব্যস্ততা তুঙ্গে। এই আবহে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আগুন লেগে গেল। এই ট্রেনটি পাটনা থেকে ঝাড়খণ্ড যাচ্ছিল। কিন্তু সেখানে ভয়াবহ আগুন লেগে গিয়েছে বলে খবর। বিহারের লক্ষ্মীসরাইতে এই ভয়াবহ আগুন লক্ষ্য করা যায়। এই নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। একাধিক কোচে আগুন লেগেছে বলে খবর। তার জেরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে যাত্রীদের মনে। এখনও হতাহতের খবর না মিললেও দ্রুত সেখানে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আগুন নেভানোর জন্য সেখানে টিম পৌঁছে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। আগুন লাগার জেরে ট্রেনের ভয়ানক ক্ষতি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ওই ট্রেনের মধ্যে যাত্রী রয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করার কাজও চলছে। কেমন করে এই আগুন লাগল? এমন প্রশ্ন সকলের মধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। তবে তা জানার আগে মানুষের প্রাণ বাঁচানো বেশি জরুরি। তাই রেলের সকল কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন আগুন নেভাতে। এর মধ্যে যেসব যাত্রী ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়তে পেরেছেন তাঁরাও আতঙ্কে ভুগছেন। গোটা ঘটনায় বিহারে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে জোর টক্কর বিজেপির, মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভায় চিন্তার অঙ্ক
অন্যদিকে রেল কর্তৃপক্ষ আগুন লাগার কারণ খুঁজতে মরিয়া। আগুন লাগার কারণ খুঁজে পাওয়ার পর তা বিবৃতি দিয়ে জানাবে রেল কর্তৃপক্ষ। কতজন যাত্রী আগুনে দগ্ধ হয়ে পড়েছেন সেটা দেখা হচ্ছে। ট্রেনের কর্মীরাও আগুনে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে জরুরি বৈঠক পর্যন্ত করছেন রেলের অফিসাররা। এখন দৌড় শুরু হয়ে গিয়েছে। যেভাবে হোক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে হবে। তবে গোটা পরিস্থিতি কেমন পর্যায়ে আছে সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। রেলের কর্মীরা কাজ করছেন। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে অনেকে কাঁদতে শুরু করেছেন।
এছাড়া এই আগুনের ধোঁয়ায় অনেক যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন বলে সূত্রের খবর। এখনও পর্যন্ত আগুনে ঝলসে কারও মারা যাওয়ার খবর মেলেনি। তবে রেলের কর্মীরা এই আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ঘটনাস্থলে আরপিএফ, জিআরপিএফ, বিহার পুলিশ এবং রেলের উচ্চপদস্থ অফিসাররা পৌঁছে গিয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে রেল সূত্রে খবর। আগুন নেভানোর কাজ এখনও চলছে। টেনশনে আছে বহু যাত্রী। কারণ কেউ ওই ট্রেন থেকে নামতে পেরেছেন। আবার কেউ পারেননি। তারা কেমন আছে এই নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।