সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগেই গমের দাম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। গমের দ𒐪াম যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত গমের স্টকের উপর ন🗹িয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে সরকার। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে গমের মজুত করা যাবে। এরপর আর গম স্টক করা যাবে না। ৩১ মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই নির্দেশ লাগু থাকবে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অসাধু ব্যবসায়ীরা অনেক সময় অতিরিক্ত গম স্টক করা শুরু করে। এরপর তারা বাজারে গমের কৃত্রিম অভাব তৈরি করে। এর জেরে গমের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকে। আর এই কালোবাজারি রুখতে আগাম পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার প্রসঙ্গত ইদানিংমান্ডিগুলিতে গমের দাম ক্রমশ বাড়ছিল। প্রায় ৪ শতাংশ দাম বাড়ছিল গমের। সেকারণেই আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি সরকার। গমের দাম নিয়ন্ত্রণে আগাম ব্যবস্থা নিল সরকার। অন্যদিকে গমের রফতানির ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি 🧔থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে মূলত গম মজুত করার সীমা নির্ধারণের🐷 মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা ৩০০০ টনের বেশি গম রাখতে পারবেন 🍌না। খুচরো বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে গম মজুতের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা মাত্র ১০ টন পর্যন্ত গম মজুত করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় খাদ্য় সচিব সঞ্জীব চোপড়া জানিয়েছে, গম আমদানির কথাও বর্তমানে ভাবা হচ্ছে না। কারণ দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ গম মজুত রয়েছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছেও গম মজুত রয়েছে। দেশে গমের ঘাটতি নেই। সেকারণে আপাতত গম আমদানির কথা ভাবা হচ্ছে না। অন্যদিকে খাদ্য সচিব জানিয়েছেন চিনি 𝓰রফতানিতেও অনুমতি দেওয়ার কোনও প্রস্তাব নেই।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশের বহু সংসার গমের উপর নির্ভরশীল। গমের দাম যদি বাড়ে তবে সেই সংসারগুলিতে কার্যত ভয়াবহ সমস্যা নেমে আসবে। কারণ চালের পাশাপাশি গমজাত খাবারের উপর নির্ভরশীল বহু পরিবার। কিন্তু সেই গমের দামই ক্রমশ বাড়ছিল। এদিকে গমের দাম বাড়তে স্বাভাবিকভাবে আটার দামও বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। সেকারণে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিপুল জনজীবনের উপর চাপ তৈরির সম্ভাবনা ছিল। সেকারণেই এবার গমের দা🌜ম নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হল মোদী সরকার। নিঃসন্দেহে বড় উদ্যোগ।