দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল, অবশেষে সরকারি ভাবে সিলমোহর পড়ল। আল হিলাল পর্বে ইতি টেনে নিজের ছোটবেলার ক্লাব স্যান্টোস এফসিতে ফিরে এলেন নেইমার। তাঁর এই যোগদানকে ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল দর্শকদের মনে। শনিবার প্রায় ২০ হাজার সমর্থকদের মাঝে তাঁকে আবার বরণ করে নিল স্যান্টোস ক্লাব। পুরোনো জায়গায় ফিরে বেশ আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন নেইমার।‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক’ - নেইমারকে নিয়ে এটাই ছিল স্যান্টোসের মূল বক্তব্য। স্যান্টোস শহরে এটা মোটেও ছোট কোনও বিষয় নয়। যে শহরে পেলেই শেষ কথা, সেখানে ফিরে এসেছেন নেইমার।
তাঁকে স্বাগত জানাতে স্যান্টোস আয়োজনের কমতি রাখেনি। সবারই জানা ছিল, সৌদি আরবে আল হিলালের পাট চুকিয়ে শৈশবের ক্লাবে ফিরছেন নেইমার। ৬ মাসের চুক্তিতে আপাতত এই যোগদান তাঁর। মেয়াদ বৃদ্ধি হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এদিন তাঁকে বরণ করে নেওয়ার জন্য স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে একটি কনসার্টও আয়োজন করেছিল ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের ক্লাবটি। বৃষ্টির মধ্যেই ভিলা বেলমিরোর গ্যালারিতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় ২০ হাজার দর্শক। স্টেডিয়ামের বাইরেও ছিল ভিড়।
এই মুহূর্তটা খুবই আবেগের ছিল এই ৩২ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফুটবল স্টারের কাছে। স্যান্টোসে ফিরে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। যখন মঞ্চে উপস্থিত হন নেইমার, তখন হাত নাড়তে নাড়তে কার্যত কেঁদে ফেলেন। নেইমার ২০২৩ সালের অগস্টে আল হিলালে যোগ দেন, কিন্তু সেখানে তিনি মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন। চোটের কারণে বেশিরভাগ সময়টাই কাটাতে হয় মাঠের বাইরে। সৌদি ছাড়া প্রসঙ্গে নেইমার বলেন, ‘সব সিদ্ধান্ত ফুটবল লজিক দিয়ে বিবেচনা করে নেওয়া হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সেখানে (আল হিলালে) ট্রেনিং সেশন ভালো কাটছিল না। মানসিকভাবেও ভালো ছিলাম না। তাই ফেরার যখন সুযোগ ছিল দু’বার ভাবিনি। আমি প্রথম থেকেই এখানে কামব্যাকের ব্যাপারে মন স্থির করেছিলাম, বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়েছে।’ ২০২৬ বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে নেইমার বলেন, ‘আমি যেকোনও মূল্যে বিশ্বকাপ ট্রফির পিছনে ছুটব। আমি গোল করতে চাই।’ উল্লেখ্য, স্যান্টোসের বয়সভিত্তিক দলে বেড়ে ওঠা নেইমারের। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ক্লাবটির মূল দলে। এরপর ইউরোপযাত্রা। প্রথমে বার্সেলোনা এবং পরে পিএসজি। শেষে সৌদির আল হিলালে যোগ দেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।